আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা অভিযানের নামকরণ “অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস” শুধু একটি সামরিক কৌশল নয়, বরং একটি ঐতিহাসিক ও কোরআনিক প্রতীকী বার্তা। অভিযানটি শুরু হয়েছে ভারতীয় আগ্রাসনের জবাবে, তবে এর নামের গভীরে রয়েছে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক বার্তা।
“বুনিয়ান-উন-মারসুস” একটি আরবি শব্দবন্ধ, যার অর্থ “গলিত সীসা দিয়ে তৈরি এক অটুট প্রাচীর”। কোরআনের সূরা আস-সাফ (৬১:৪)-এ এই শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে ঈমানদারদের যুদ্ধক্ষেত্রে দৃঢ়, ঐক্যবদ্ধ ও অনড় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—যেন তারা এক সুসংগঠিত প্রাচীর।
এই নামকরণের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান বিশ্বের সামনে এক নির্দ্বিধ, সংহত ও প্রতিশোধপরায়ণ জাতি হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে চায়। সামরিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই শব্দবন্ধ শুধু প্রতিরক্ষার প্রতীক নয়, বরং মানসিক প্রস্তুতি ও কৌশলগত প্রত্যাঘাতের মনোভাবের প্রতিফলন।

সামরিক সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, “বুনিয়ান-উন-মারসুস” শত্রুর চাপ সহ্য করার শক্তি এবং প্রয়োজনে কঠিন জবাব দেওয়ার ক্ষমতা—এই দুইয়ের সমন্বয়। অভিযানটি কেবল যুদ্ধের ক্ষেত্রেই নয়, বরং দেশের অভ্যন্তরে জনগণের মধ্যে ঐক্য ও মনোবল জাগিয়ে তুলতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এই নামের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান জানিয়ে দিল—এই প্রতিরক্ষা শুধু ভূমির নয়, এটি বিশ্বাস, জাতিগত সংহতি এবং আত্মমর্যাদার লড়াই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটি একটি কৌশলগত বার্তাও—যে পাকিস্তান পেছনে নয়, প্রতিরোধে প্রস্তুত।
পাকিস্তান শনিবার ভোররাতে “অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস” শুরু করেছে। দেশটির নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই অভিযানের আওতায় ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর টার্গেটেড হামলা চালানো হচ্ছে। অভিযানের শুরুতেই পাকিস্তানি ড্রোনগুলো ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির আকাশসীমায় প্রবেশ করে নজরদারি চালায় বলে দাবি করা হয়েছে।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানা গেছে, এই অভিযানের অংশ হিসেবে পাকিস্তান “আল-ফাতাহ” নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে, যা সদ্য ভারতীয় হামলায় নিহত শিশুদের স্মরণে নামকরণ করা হয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক সূত্র জানিয়েছে, ওই শিশুদের আত্মত্যাগ ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় এবং এই হামলা সেই নিঃসঙ্গ প্রতিশোধের অংশ।
অভিযানে যেসব ঘাঁটি থেকে পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিক এবং উপাসনালয়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল, সেগুলোকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একাধিক কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে হামলা চলেছে বলে জানানো হয়।
অভিযানের একটি বড় অর্জন হিসেবে রাজৌরিতে অবস্থিত ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, যা পাকিস্তানে সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশে ব্যবহৃত হতো বলে দাবি করা হয়। এছাড়া অমৃতসরের শিখ অধ্যুষিত অঞ্চলে এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত আদমপুর বিমানঘাঁটিও ধ্বংস করা হয়েছে।
নাগরোটায় অবস্থিত ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র মজুতকেন্দ্র ও দেহরাংয়ারি এলাকায় ভারতীয় আর্টিলারি পজিশন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি নিরাপত্তা সূত্রের। পাঞ্জাবের বিয়াস অঞ্চলের একটি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি, উদমপুর এয়ারবেস এবং পাঠানকোটের বিমানঘাঁটিকেও অকেজো করে ফেলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক এই অভিযানে ভারতীয় বাহিনীর জি-টপ এলাকায় ব্রিগেড সদর দপ্তর ও উরিতে অবস্থিত রসদঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে, যার ফলে ভারতের সামরিক সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাপক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া এলে আরও ‘হাই-ভ্যালু’ টার্গেটে হামলা চালানো হবে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ভারতের অর্থনৈতিক সম্পদগুলোও ভবিষ্যৎ হামলার টার্গেট হতে পারে।
এদিকে ভারতজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে পরিচালিত একটি সাইবার হামলায় ভারতের বিদ্যুৎ গ্রিড ব্যবস্থার প্রায় ৭০ শতাংশ অচল হয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।