বিনোদন ডেস্ক:
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনার আবহে বলিউড অভিনেতা হর্ষবর্ধন রানে সরাসরি জানিয়ে দিলেন, তিনি আর থাকছেন না ‘সনম তেরি কসম’ চলচ্চিত্রের সম্ভাব্য দ্বিতীয় পর্বে, যদি সেখানে আগের অভিনেত্রী মাওরা হোসেন থাকেন।
২০১৬ সালের এই জনপ্রিয় রোমান্টিক সিনেমায় রানে ও হোসেন জুটি হিসেবে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ছবিটি পুনঃপ্রদর্শিত হলে তা আবারও বক্স অফিসে সাড়া ফেলে। এরপর থেকেই সিক্যুয়েল নির্মাণের গুঞ্জন ছড়ায়। তবে গত ৭ মে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাকিস্তানে হামলার ঘটনায় মাওরার প্রতিক্রিয়ায় তা নতুন মাত্রা পায়।
মাওরা হোসেন এক ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, “ভারতের কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছেন। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন, শুভবুদ্ধির উদয় হোক।” তার এই মন্তব্যকে হর্ষবর্ধন রানে কটাক্ষ করে বলেন, “আমার দেশ নিয়ে সরাসরি এমন মন্তব্য পড়ার পর আমি এই সিনেমার সম্ভাব্য দ্বিতীয় পর্বে আগের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তিনি আরও লেখেন, “আমি কৃতজ্ঞ ‘সনম তেরি কসম’-এর অভিজ্ঞতার জন্য। তবে এখনকার প্রেক্ষাপটে, আমি নিজেকে সিক্যুয়েল থেকে সরিয়ে নিচ্ছি। শিল্পী হিসেবে সব দেশের মানুষের প্রতি আমার সম্মান রয়েছে, কিন্তু কোনো দেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য আমি সমর্থন করি না।”
রানে ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরিতে লেখেন, “আমার সম্মান, দেশপ্রেম ও পারিবারিক শিক্ষা বিসর্জন দিয়ে আমি কখনও জনপ্রিয়তা বা ফলোয়ার চাই না।”
তিনি যেই সময় এ মন্তব্য করেন, সেটি ছিল পাকিস্তানের পাল্টা সামরিক অভিযানের ঠিক পর। পাকিস্তান দাবি করে, ৩:৩০ মিনিটে ভারতের পক্ষ থেকে চক্রালার নূর খান, চকওয়ালের মুরিদ ও ঝাংয়ের রফিকি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়, যদিও বিমানবাহিনীর সব সম্পদ নিরাপদ ছিল। এরপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ‘বুনিয়ান উম মারসুস’ নামের অভিযানে ভারতের পাঠানকোট ও উধমপুর ঘাঁটি এবং বিয়াস অঞ্চলের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার ধ্বংস করে বলে দাবি করা হয়।
মাওরা হোসেন শুধু নয়, পাকিস্তানের আরও বেশ কয়েকজন তারকা এই হামলাকে “সন্ত্রাসবাদেরই আরেক রূপ” বলে উল্লেখ করেছেন এবং একে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন।
এই উত্তপ্ত অবস্থায় দুই দেশের সংস্কৃতি জগতেও যেন ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। রানে-হোসেনের জনপ্রিয় সিনেমার সম্ভাব্য পুনর্মিলন আর হচ্ছে না বলেই স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে।