সরাসরি বলতে গেলে, অর্জুন-মালাইকার বন্ধুত্ব শুধুমাত্র কাজের সম্পর্ক নয়। বিভিন্ন ইন্টারভিউ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা একে অপরের প্রশংসা করতে কখনো কসুর করেননি। অর্জুন প্রায়শই বলেন, “মালাইকা শুধু একজন সহকর্মী নন, তিনি একজন সত্যিকারের বন্ধু। তার সঙ্গে আমি সব সময় খোলামেলা থাকতে পারি।” অন্যদিকে মালাইকা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্জুনকে সমর্থন জানাতে কখনো পিছপা হননি, বিশেষ করে চলচ্চিত্র প্রজেক্ট ও পারফরম্যান্স সংক্রান্ত সময়ে।
তাদের বন্ধুত্বের বিশেষত্ব হলো—এটি কোনো প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে নয়, বরং পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়ার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। বিগত বছরগুলিতে বিভিন্ন পার্টি, প্রিমিয়ার এবং চ্যারিটি ইভেন্টে তাদের একসঙ্গে উপস্থিতি সামাজিক মিডিয়ায় ভক্তদের জন্য আনন্দের বিষয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে অর্জুনের জন্মদিনে মালাইকার হালকা মজা এবং স্নিগ্ধ শুভেচ্ছা একটি উদাহরণ, যা প্রমাণ করে তারা একে অপরের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ।
বেশ কিছু সময় ধরে গসিপের স্রোত থাকলেও, এই বন্ধুত্ব কখনো কৌতূহলের শিকার হয়নি। অর্জুন-মালাইকার সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝায় যে, বলিউডের হাইপ্রোফাইল জীবনযাত্রার মাঝেও সত্যিকারের বন্ধুত্ব টিকে থাকতে পারে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের মজা, হেসে খেলে ও একে অপরকে সমর্থন করার মুহূর্তগুলো ভক্তদের মনে উষ্ণ অনুভূতি তৈরি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বলিউডে বন্ধুত্বের এমন দৃঢ় উদাহরণ নতুন প্রজন্মের অভিনেতা ও মডেলের জন্য অনুপ্রেরণা। অর্জুন-মালাইকার বন্ধুত্ব শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি একটি পেশাগত দিকও উপস্থাপন করে—কীভাবে সহকর্মীদের সঙ্গে পারস্পরিক সমর্থন ও শ্রদ্ধায় পেশাদারিত্ব বজায় রাখা যায়।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, অর্জুন কাপুর ও মালাইকা অরোরা একে অপরের প্রতি যে বন্ধুত্ব ও সমর্থন দেখিয়েছেন, তা বলিউডের জগতে বিরল। সময়ের পরীক্ষায় এই বন্ধুত্ব অটুট রয়ে গেছে এবং ভবিষ্যতেও তাদের সম্পর্ক ভক্তদের চোখে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।