করিমের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ৫০ হাজার ২০০ টাকা এবং তার দেওয়া তথ্যমতে ওয়াসের আলীর পাহাড়ি জমি থেকে আরও ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, বান্দরবান: লামায় আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিসে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় লুট হওয়া ২১ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার পর্যন্ত একাধিক অভিযানে লামা পৌরসভার দুটি স্থান থেকে মাটি খুঁড়ে এসব টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী করিম এখনও পলাতক।
৯ মে ভোরে ১৫ থেকে ২০ জনের একদল অস্ত্রধারী ডাকাত লাইনঝিরি এলাকার ওই তামাক ক্রয় অফিসে হামলা চালায়। অফিসের কর্মচারীদের জিম্মি করে তারা প্রায় এক কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ১০ মে লামা থানায় মামলা হলে পুলিশ তদন্তে নামে এবং বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটজনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।
গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন চকরিয়ার পূর্ব ভেউলা এলাকার মারুফুল ওরফে আরিফ, লক্ষ্যাচর এলাকার নাঈমুল ইসলাম ওরফে সাগর, লামা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম, পৌর এলাকার সুজন, সাবেক বিলছড়ি এলাকার আনোয়ারা বেগম, করিমের স্ত্রী ও বোন এবং আরও একজন পুরুষ আসামি।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, করিমের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ৫০ হাজার ২০০ টাকা এবং তার দেওয়া তথ্যমতে ওয়াসের আলীর পাহাড়ি জমি থেকে আরও ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, পলাতক করিম দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং এই ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে সন্দেহভাজন। তার নেতৃত্বেই পুরো ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, করিম ও আরিফের নেতৃত্বেই সিলেটি পাড়ায় গড়ে ওঠা একটি সংঘবদ্ধ দল এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে।
ডাকাতির ঘটনায় এখনও পুরো অর্থ উদ্ধার হয়নি। বাকি টাকা এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।