বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে প্রাথমিক সত্যতা থাকায় পলাতক ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই আদেশ দেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতেও পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ সকালে ট্রাইব্যুনাল-২-এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে ৩০ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ জুন চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে জমা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
৩০ আসামির মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের তৎকালীন বেরোবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ। তাঁদের পরবর্তী শুনানির তারিখে ট্রাইব্যুনাল-২-এ হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ জুলাই।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন পার্ক মোড় এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে আবু সাঈদ হত্যার ঘটনার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলের সময় সংঘটিত নানা অপরাধের বিস্তারিত তুলে ধরেন।