বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান আজ শনিবার সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে ‘আব্দালি’ অস্ত্র ব্যবস্থার। ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার এই ভূমি-থেকে-ভূমি ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণটি দেশটির সামরিক বাহিনীর ‘ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস’ বিভাগ নিশ্চিত করে জানায়: “এই উৎক্ষেপণের লক্ষ্য ছিল সৈন্যদের কার্যকর প্রস্তুতি যাচাই এবং ক্ষেপণাস্ত্রটির উন্নত ন্যাভিগেশন ব্যবস্থা ও বাড়তি গতিশীলতা পরীক্ষার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত উপাদানসমূহ যাচাই করা।”
আরও জানায়, এই উৎক্ষেপণ ছিল “এক্স ইন্দুস” সামরিক অনুশীলনের অংশ, যেখানে উপস্থিত ছিলেন আর্মি স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের প্রধান, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা।
সংস্থাটি উৎক্ষেপণের একটি ভিডিও-ও প্রকাশ করেছে, যেখানে উৎক্ষেপণের নিখুঁত সফলতা তুলে ধরা হয়।
রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা সংশ্লিষ্ট সৈন্য, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানান।
তারা বলেন, “পাকিস্তানের কৌশলগত বাহিনীগুলোর প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও প্রস্তুতির উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা বিশ্বাস করি, এসব শক্তি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং কার্যকর প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সক্ষম।”
উৎক্ষেপণটি এমন সময় ঘটল যখন কাশ্মীরের পাহালগামে ২২ এপ্রিলের প্রাণঘাতী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারত হামলার জন্য ‘সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাস’ এর অভিযোগ করলেও পাকিস্তান তা ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখায় এক সপ্তাহ ধরে ভারতের গোলাবর্ষণের জবাব দিয়েছে। ১ মে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভারতের যেকোনো দুঃসাহসিকতা কঠোর ও সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়ায় মুখোমুখি হবে।”
এই ঘটনার একদিন পরই সামরিক শীর্ষকর্তারা আবারও জানিয়ে দেন, ভারত যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে চায়, তবে ‘নিশ্চিত ও কঠোর’ জবাব পাবে।
পরিস্থিতি যাতে যুদ্ধের দিকে না গড়ায়, সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে এবং দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে আগস্ট ২০২৪-এ পাকিস্তান সফলভাবে ‘শাহীন-II’ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল।