বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের অন্যতম তারকা আমির খান বরাবরই নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব সংযত। জনসমক্ষে তিনি পরিচ্ছন্ন ও নিখুঁত ইমেজ বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন সবসময়। কিন্তু তাঁর ভাই ফয়জল খান যে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন, তাতে ফের প্রশ্নের মুখে পড়লেন এই তারকা।
ফয়জলের দাবি অনুযায়ী, নয়ের দশকের শেষ দিকে ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখিকা জেসিকা হাইনসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়ান আমির। সেই সম্পর্কের ফলেই নাকি তাঁদের একটি সন্তানও জন্ম নেয়। ফয়জলের বক্তব্য— “সাহস থাকলে আমির ডিএনএ টেস্ট করুক, প্রমাণ বেরিয়ে আসবে।”
এই অভিযোগে ঝড় উঠেছে বলিউডের অন্দরে। একদিকে আমিরের দুই বোনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, অন্যদিকে ফয়জলের সঙ্গে তিক্ততা-পারিবারিক দ্বন্দ্ব যে এ বিতর্কের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে, তা বলিউড মহলে অনেকে খোলাখুলিই বলছেন। বহু বছর ধরেই সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন দুই ভাই। ফলে কেউ কেউ মনে করছেন, ফয়জলের সাম্প্রতিক অভিযোগ তাঁর ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে।
অন্যদিকে, বলিউডে দীর্ঘদিন ধরেই আমির-জেসিকা অধ্যায় নিয়ে ফিসফাস চলেছে। ২০০২ সালে রিনা দত্তর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আগে থেকেই জেসিকার নাম শোনা যেত বিভিন্ন গসিপ পত্রিকায়। তবে এ নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি আমির বা জেসিকা। এ কারণেই ফয়জলের সাম্প্রতিক বক্তব্যে নতুন করে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
বলি মহলের অনেকেই বলছেন, যদি অভিযোগে সামান্য সত্যতাও থাকে, তবে তা আমিরের জনসমক্ষে তৈরি করা ভাবমূর্তির সঙ্গে বড় ধাক্কা দেবে। বিশেষত এখন, যখন বলিউড তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে এবং দর্শকেরা তারকাদের নৈতিক অবস্থান নিয়ে আরও বেশি সচেতন।
তবে অন্য একটি দিকও বিবেচ্য ফয়জল নিজেই বলিউডে কেরিয়ার গড়তে ব্যর্থ হয়েছেন। এর আগে একাধিকবার মানসিক অস্থিরতা ও ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন তিনি। তাই অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তাঁর অভিযোগ আদৌ কতটা বিশ্বাসযোগ্য।
এখন প্রশ্ন একটাই আমির ও জেসিকা কি এই অভিযোগে মুখ খুলবেন? নাকি বলিউডে এ বিষয়টি আরও দীর্ঘদিন রহস্য হিসেবেই রয়ে যাবে? উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত এই অধ্যায় ঘিরে জল্পনা থামছে না।