বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ আমির খান তার অভিনয়ের জন্য যেমন বিখ্যাত, তেমনি শারীরিক রূপান্তরের জন্যও প্রশংসিত। বিশেষ করে ‘দঙ্গল’ ছবির জন্য আমির খান তার শরীরকে যেভাবে বদলে ফেলেছিলেন, তা এখনো আলোচনার বিষয়। মাত্র পাঁচ মাসে ২৫ কেজি ওজন কমিয়ে তাক লাগিয়েছিলেন তিনি। কীভাবে সম্ভব হয়েছিল এই রূপান্তর?
এক সাক্ষাৎকারে আমির জানান, ফিটনেসের মূল চাবিকাঠি হলো — সঠিক ডায়েট, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম। তাঁর মতে, “ফিটনেসের ৫০ শতাংশ নির্ভর করে ডায়েটের ওপর, ২৫ শতাংশ ব্যায়ামের ওপর এবং বাকি ২৫ শতাংশ বিশ্রামের ওপর।”
আমির বলেন, অনেকেই মনে করেন শুধু ব্যায়াম করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ডায়েট ঠিক না থাকলে, ব্যায়াম করে তেমন সুফল পাওয়া যায় না। তিনি জোর দেন ক্যালোরি ঘাটতি (Calorie Deficit) পদ্ধতির ওপর।

কী এই ক্যালোরি ঘাটতি?
আমিরের ভাষায়, “যদি আপনার দেহ প্রতিদিন ২,০০০ ক্যালোরি ব্যবহার করে, আর আপনি ১,৫০০ ক্যালোরি খান, তাহলে প্রতিদিন ৫০০ ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি হয়। সপ্তাহ শেষে এই ঘাটতি ৩,৫০০ ক্যালোরি দাঁড়ায়, যা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। দৈনিক ৭ কিমি হাঁটলে আরও বেশি ক্যালোরি পোড়ানো সম্ভব।”
তবে, শুধু ক্যালোরি কমালেই হবে না — খাওয়াটা হতে হবে সুষম, যাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি, ফাইবার এবং সোডিয়াম ঠিকঠাক থাকে।
পুষ্টিবিদ রাশি চাহালও আমিরের পদ্ধতির প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, ক্যালোরি ঘাটতির মাধ্যমে শরীর জমাকৃত ফ্যাট শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে। তবে সতর্ক করেছেন, যাদের বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা আছে বা যারা ক্রীড়াবিদ, তাদের জন্য এই পদ্ধতি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। চরম ডায়েটিং করলে পেশি ক্ষয় বা ভিটামিনের ঘাটতির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই আমিরের মতোই, ফিটনেসের জন্য সঠিক ব্যালান্স বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ, ৫৫ বছর বয়সেও আমির খান তার ৬ প্যাক অ্যাবস নিয়ে যুবকদের টেক্কা দিচ্ছেন — আর তার পেছনে আছে নিয়ম, সচেতনতা আর আত্মনিয়ন্ত্রণের অনন্য উদাহরণ।