বিনোদন ডেস্ক:
বলিউড তারকা আমির খান নিজের কাজের প্রতি যতটা নিবেদিত, ব্যক্তিগত জীবনে সেই মাপের ভারসাম্য তিনি কখনও রক্ষা করতে পারেননি এ কথা আজ নিজেই অকপটে স্বীকার করছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমির জানান, তাঁর অতিরিক্ত কাজপাগল স্বভাব ও অহংবোধই দাম্পত্য জীবনে দূরত্ব তৈরি করেছিল। বিশেষ করে কিরণ রাওয়ের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যে যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল, তার দায়ভার থেকে নিজেকে মুক্ত ভাবেন না তিনি।
২০০১ সালে প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আমির খান নতুন করে পরিচিত হন কিরণ রাওয়ের সঙ্গে। ‘লগান’ ছবির সহ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কিরণ তখন বলিউডে কাজ করছেন। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব, এরপর প্রেম এবং ২০০৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। এই দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে আজাদ রাও খান, যার জন্ম হয় ২০১১ সালে সারোগেসির মাধ্যমে।
দীর্ঘ ১৫ বছরের সংসার জীবনের পর ২০২১ সালে তাঁরা যৌথভাবে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, এই বিচ্ছেদ শত্রুতার নয়, বরং বন্ধুত্বের রূপান্তর। বিচ্ছেদের পরও তাঁরা একসঙ্গে কাজ করছেন, যেমন ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমার প্রযোজনায় কিরণ সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
তবে সম্পর্ক ভাঙার পেছনে নিজের আচরণের দোষই খুঁজে পান আমির খান। তিনি বলেন, “আমি কাজে এতটাই ডুবে থাকতাম যে পারিবারিক সম্পর্ককে প্রয়োজনমতো সময় দিতে পারিনি। আবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেও, সেটি প্রকাশ না করে নিজেকে গুটিয়ে নিতাম। দিনের পর দিন স্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলেই কাটিয়ে দিতাম।”
তিনি একটি ঘটনার কথাও বলেন—কিরণ রাওয়ের সঙ্গে এক তর্কের পরে চার দিন তিনি স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেননি। একই ঘরে থেকেও মুখে টুঁ শব্দ করেননি। কিরণ যখন চতুর্থ রাতে কথা বলার চেষ্টা করেন, আমির তখনও নিরুত্তর। এক পর্যায়ে কিরণ কেঁদে ফেলেন। আমির বলেন, “আমার অহংবোধে এতটাই আঘাত লেগেছিল যে আমি নিজেকে শক্ত করে ফেলেছিলাম। ওকে ক্ষমা করতেও পারিনি তখন।”
এই অহংবোধই যে তাঁদের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মূল কারণ, তা এখন বুঝতে পারছেন আমির খান। বলছেন, “আমি ভাল সঙ্গী হয়ে উঠতে পারিনি। সেই ব্যর্থতা আমারই।”
বর্তমানে প্রাক্তন দুই স্ত্রীর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন আমির। সন্তানদের দেখাশোনা এবং পেশাগত ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রেও তাঁরা একে অপরকে সহায়তা করছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের ওই অনুশোচনা তাঁকে আজও তাড়া করে ফেরে।
📌 আপনার মতামত কী?
আপনার অভিজ্ঞতায় সম্পর্কের টানাপোড়েনে ‘অহং’ কতটা দায়ী? নিচে মন্তব্য করে জানান।
📲 সম্পর্ক ভাঙার নেপথ্যে কী সত্যিই আমির দায়ী?
এই প্রতিবেদনটি শেয়ার করুন বন্ধুদের সঙ্গে, জানতে চান তাদের মতও।
📺 আরও জানতে চান বলিউড তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনের অজানা কাহিনি?
বিনোদন পাতায় চোখ রাখুন নিয়মিত।
📰 এমন আরও মানবিক গল্প ও তারকাদের স্বীকারোক্তি পেতে…
আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন এবং নোটিফিকেশন চালু করুন।
🔍 কিরণ-আমিরের সম্পর্কভাঙা কি শুধুই অহংবোধের জন্য?
আপনার বিশ্লেষণ পাঠাতে পারেন আমাদের ইনবক্সে। নির্বাচিত মতামত প্রকাশিত হবে!