
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ‘ইতিবাচক’ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার ৫ আগস্টের প্রস্থানের পর দেশবাসী সেনাপ্রধানের বক্তব্য শোনার অপেক্ষায় ছিলেন। তাঁর মতে, সেনাপ্রধান যদি এখন গণতন্ত্রে ফেরার পক্ষে বক্তব্য দেন, তাহলে তাতে সমস্যা কোথায়?
সোমবার রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে শীর্ষ নিউজ ডটকমের নতুন যাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমীর খসরু।
তিনি বলেন, সেনাপ্রধান বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন, যা সময়োপযোগী। একক স্বার্থে কোনো ঐক্য গঠন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের জন্য গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করাটা গ্রহণযোগ্য নয়। সাত বছর আগে বিএনপি সংস্কারের কথা বলেছে। ২৭ দফা এবং পরে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে সেটি ৩১ দফায় পরিণত হয়েছে। এটা আমাদের প্রস্তাব, অন্যদের নয়।’
অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাক্স্বাধীনতার ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ে জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘এটা স্বীকৃত সত্য। সরকার যখনই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে, তখনই গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার পথ খুলবে। আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব ছাড়লেও একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় থাকুক।’
জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘এই আন্দোলনে বহু মানুষ ত্যাগ করেছেন, যাদের নাম হয়তো ইতিহাসে উচ্চারিত হয় না। অথচ এখন কিছু ব্যক্তি গৌরবের একচেটিয়া মালিকানা দাবি করছেন। শেখ হাসিনা যদি সত্যি পালিয়ে থাকেন, তাহলে “আনসাং হিরোদের” কৃতিত্বও স্বীকার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতিকে বিভক্ত করে কৃতিত্ব কুক্ষিগত করার প্রবণতা বিপজ্জনক। ইতিহাসের সকল অংশগ্রহণকারীকেই সম্মান জানানো উচিত।’
শেখ হাসিনার শাসনামলে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য দিতে দেখা যেত না উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘তখন অনেকেই চুপ ছিলেন। এখন তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। হাসিনা না পালালে অনেকে জেলে থাকতেন, কেউ কেউ হয়তো মৃত্যুদণ্ডও পেতেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শীর্ষ নিউজ ডটকমের সম্পাদক একরামুল হক।