Home আন্তর্জাতিক আমেরিকায় জাতিবিদ্বেষের শিকার অনন্যা বিড়লা

আমেরিকায় জাতিবিদ্বেষের শিকার অনন্যা বিড়লা

অনন্যা বিড়লা

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার এক রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান কুমারমঙ্গলম বিড়লার মেয়ে অনন্যা বিড়লা। অভিযোগ, তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে রেস্তোরাঁ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জাতিবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন। গত শনিবার টুইট করে অনন্যা এই খবর জানান।

টুইটারে অনন্যা লিখেছেন, রেস্তোরাঁ থেকে আমাকে ও আমার পরিবারকে আক্ষরিক অর্থেই বার করে দেওয়া হয়েছে। আমরা জাতিবিদ্বেষের শিকার হয়েছি। খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের জানা উচিত, খদ্দেরদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হয়।

অনন্যারা যে রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন, তার নাম স্কোপা। তার মালিক ইতালীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান। তাঁর নাম অ্যান্তোনিও লোফাসো। তিনি নিজে নামকরা শেফ।

অপর একটি টুইটে অনন্যা লিখেছেন, আমরা রেস্তোরাঁয় গিয়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। সেখানকার ওয়েটার জোশুয়া সিলভারম্যান আমার মায়ের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। অন্যন্যার মা নীরজা বিড়লা পেশায় শিক্ষাবিদ। তিনিও টুইটারে লিখেছেন, ‘ভেরি শকিং। কাস্টমারদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করার কোনও অধিকারই নেই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের।’ পরে তিনি লেখেন, ‘আমার কখনও এমন অভিজ্ঞতা হয়নি। জাতিবিদ্বেষ যে আছে তার প্রমাণ পেলাম। ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য।’

কয়েকমাস আগেই জাতিবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয় আমেরিকা। ২৫ মে মিনেসোটাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের ওই কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে হেফাজতে নেওয়ার সময় রাস্তাতেই তাঁর গলায় নিজের হাঁটু দিয়ে চেপে রাখেন পুলিশকর্মী ডেরেক শভিন। বারবার জর্জ আকুতি জানাচ্ছিলেন, তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না। কিন্তু কিছুতেই পা তোলেননি ডেরেক। কিছুক্ষণ পরে সেখানেই মৃত্যু হয় জর্জের।

জর্জের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, মৃত্যুর কারণ শ্বাসরোধ করে হত্যা। গলায় মারাত্মক জখম রয়েছে জর্জের। ঘাড়ের কাছের হাড় বেঁকে গেছে। এমনকি পুলিশ অফিসারের হাঁটুর চাপে মাথায় অক্সিজেন পৌঁছনো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জর্জের। হৃদস্পন্দন থেমে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

এই পুরো ঘটনার ভিডিও করেন কিছু পথচারী। সেই ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ। প্রথমে মিনেসোটায় বিক্ষোভ শুরু হয়। কয়েকশ দোকান ভাঙচুর হয়। থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা নামাতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে বিক্ষোভ নিউ ইয়র্ক, আটলান্টা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে ওয়াশিংটন ডিসিতেও।

হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভ চরমে ওঠে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামাতে হয় সেনা। কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাকর্মীরা তাঁকে নিয়ে যান হোয়াইট হাউসের আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে।

বিক্ষোভের জেরে অবশ্য ডেরেক শভিন ও আরও তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। ডেরেকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।