আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তেহরান থেকে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি। ১২ দিনের ভয়াবহ যুদ্ধ শেষে বৃহস্পতিবার তিনি এক ভিডিও ভাষণে দাবি করেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র এই যুদ্ধে “জয়ী হয়েছে” এবং আমেরিকাকে “একটি জোরালো চড়” মেরেছে।
তবে খামেনির এই বক্তব্যকে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা ‘বাস্তবতাবিবর্জিত’ বলে অভিহিত করছেন। কারণ, ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর আওতায় ইরানের অন্তত তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হয়েছে, ধ্বংস হয়ে গেছে ফোর্ডো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের গোপন সুবিধাগুলো। প্রাণ হারিয়েছেন এক ডজনেরও বেশি পরমাণু বিজ্ঞানী।
যুদ্ধকালীন সময় পুরোপুরি আড়ালে থাকা খামেনি বলছেন, “আমরা জয়ী হয়েছি এবং আমেরিকাকে প্রতিশোধ হিসেবে চড় মেরেছি।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনাও করেন, বলেন—“তিনি শো-অফ করতে চেয়েছিলেন মাত্র।”
গত ২১ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাতটি বি-টু বোমারু বিমানের মাধ্যমে ইরানের গোপন ফোর্ডো পারমাণবিক কেন্দ্রে ‘বাংকার-বাস্টার’ বোমা ফেলতে নির্দেশ দেন। একইসাথে পারমাণবিক-সক্ষম সাবমেরিন থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয় নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের দিকে।
এরপর পাঁচ দিন কেটে গেলেও ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা স্থিতিশীল হয়নি। যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইরান নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে “উভয় পক্ষের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন” বলে উল্লেখ করেন।
সামগ্রিক পরিস্থিতি আপাতত শান্ত থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার এখন ইরানকে পুনরায় পরমাণু আলোচনায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।