Home Second Lead আল্লামা সুলতান যওক নদভীর ইন্তেকাল: শোকের ছায়া

আল্লামা সুলতান যওক নদভীর ইন্তেকাল: শোকের ছায়া

আল্লামা মুহাম্মদ সুলতান যওক

 ইসলামি সাহিত্যাঙ্গনের এক অধ্যায়ের অবসান

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের বিশিষ্ট আলেম, আরবি ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম পথপ্রদর্শক, জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ সুলতান যওক নদভী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (২ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। গত ১৮ এপ্রিল গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে একাধিকবার আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়ার শিক্ষক মাওলানা এনামুল হক মাদানি জানানা, মরহুমের জানাজা শনিবার বিকেল ৪টায় জামেয়ার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।

আল্লামা সুলতান যওক নদভী ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সর্বশেষ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের সভাপতি এবং সৌদি আরবভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল লিগ অব ইসলামিক লিটারেচার-এর বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ। ইসলামি সাহিত্য ও আরবি ভাষা শিক্ষায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় অভিভাবক হিসেবে বিবেচিত ছিলেন।

তাঁর ইন্তেকালে দেশজুড়ে আলেম সমাজসহ সাধারণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এই প্রেক্ষাপটে শোক প্রকাশ করে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। তিনি লেখেন:“আল্লামা সুলতান যওক নদভীর ইন্তেকাল একটা যুগের অবসান। আমাদের কৈশোরে ও তারুণ্যে আরবি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে আবুল হাসান আলী নদভীর সাথে সাথে উনাকেও অনুসরণীয় মনে করতাম। উনি আলি মিয়া থেকে জ্ঞানের স্বাদ (যওক) পেয়েছেন এবং সে স্বাদ সফলভাবে এদেশে বিতরণ করে গেছেন। আল্লাহ তার কবরকে আলোকিত করুন।”

তিনি আরও বলেন: “বাংলাদেশে আমাদের স্বপ্ন বহুভাষিকতা এবং বহু-সংস্কৃতির চাষবাস। বিভিন্ন সভ্যতা ও সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র বঙ্গীয় বদ্বীপ ও বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে যেন পরস্পরে দায় ও দরদের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং রাষ্ট্র হিসেবে আমরা যেন গণতন্ত্র ও সবার অধিকারের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলে ও সারাবিশ্বে অনুসরণীয় হয়ে উঠতে পারি, এটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা।”

উল্লেখ্য, আল্লামা সুলতান যওক নদভী তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেছেন কওমি মাদরাসা শিক্ষা ও আরবি সাহিত্য উন্নয়নে। তাঁর কর্ম ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের আলেম-উলামাদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।