Home First Lead বিএনপি ক্ষমতায় এলে শেয়ারবাজার শক্তিশালী করা হবে: আমীর খসরু

বিএনপি ক্ষমতায় এলে শেয়ারবাজার শক্তিশালী করা হবে: আমীর খসরু

ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট পুনর্গঠন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক কর্মশালায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

‘তেল মারার সংস্কৃতি’ থেকে বের হয়ে আসতে হবে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: বিএনপি যদি ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে, তবে দেশের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে তারা দীর্ঘমেয়াদি ও সামগ্রিক কাঠামোগত সংস্কারে জোর দেবে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় এলে শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে বিগত বছরগুলোতে এ খাত এত বেশি সমস্যায় পড়েছে যে, শুধু সরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে আনার মত ছোট উদ্যোগে তেমন কাজ হবে না। সামগ্রিকভাবে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।”

সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ক্যাপিটাল মার্কেট পুনর্গঠন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এই মন্তব্য করেন তিনি। ইআরএফ ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।

আমীর খসরু বলেন, বিগত বছরগুলোতে শেয়ারবাজার একের পর এক সংকটে পড়েছে। বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা টিকিয়ে রাখা যায়নি, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর দক্ষতার ঘাটতি ছিল এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছিল বড় একটি বাধা। তাই এখন এই বাজারকে ঘুরে দাঁড় করাতে হলে খণ্ড খণ্ড পদক্ষেপে হবে না, প্রয়োজন হবে সমন্বিত ও কার্যকর সংস্কারের।

তিনি আরও বলেন, “কেবল শেয়ারবাজারে সরকারি কিছু লাভজনক প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করলেই বাজার চাঙা হবে—এই ধারণা ভুল। বাজারের ভিত্তি দুর্বল হয়ে গেলে তাতে উপরে নতুন ভবন তুলেও টিকে থাকা যায় না। তাই প্রথমেই ভিত্তিমূল শক্ত করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে একাধিক বক্তা আমীর খসরুকে সম্ভাব্য ভবিষ্যত অর্থমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করলে তিনি সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে ‘তেল মারার সংস্কৃতি’ থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যত বড় সংস্কারই হোক, যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি না বদলায়, তাহলে সংস্কার ফলপ্রসূ হবে না।”

তিনি দাবি করেন, বিএনপির পূর্ববর্তী মেয়াদে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিকভাবে নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ফলে তখন বাজারে স্থিতিশীলতা ছিল এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা গড়ে উঠেছিল।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মো. মমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং ইআরএফের প্রেসিডেন্ট দৌলত আকতার মালা।