আনোয়ার আহমেদ, কুয়ালালামপুর ( মালয়েশিয়া ): কুয়াকক্যারেলি সাইমন্ডস (QS) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস ২০২৬-এ দুই ধাপ এগিয়ে ইউনিভার্সিটি মালায়া (UM) এখন ৫৮তম স্থানে উঠে এসেছে, যা মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ অবস্থানপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর অবস্থান আরও সুদৃঢ় করেছে। এটি মালয়েশিয়ার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবারও যেটা বিশ্ব সেরা ১০০-র মধ্যে স্থান ধরে রেখেছে।
এশিয়ার মধ্যে ইউনিভার্সিটি মালায়ার অবস্থান ১৬তম। প্রতিষ্ঠানটি QS-এর ৯টি মূল্যায়ন সূচকের মধ্যে পাঁচটিতে মালয়েশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে একাডেমিক খ্যাতিতে ৫৮তম এবং নিয়োগকর্তা খ্যাতিতে (Employer Reputation) ৪০তম স্থানে রয়েছে ইউনিভার্সিটি মালায়া।
এছাড়া অন্যান্য মালয়েশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যেও অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া ১২ ধাপ এগিয়ে ১২৬তম স্থান অর্জন করেছে। ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া ও ইউনিভার্সিটি সাইন্স মালয়েশিয়া যৌথভাবে ১৩৪তম স্থানে রয়েছে। উভয়ই যথাক্রমে ১৪ ও ১২ ধাপ উন্নতি করেছে।
ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়া ২৮ ধাপ এগিয়ে ১৫৩তম স্থানে উঠে এসেছে, যা মালয়েশিয়ার শীর্ষ ২০০-র মধ্যে থাকা পঞ্চম বিশ্ববিদ্যালয়।
শীর্ষ ৩০০-র মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি পেট্রোনাস , যা ১৮ ধাপ এগিয়ে ২৫১তম স্থান অর্জন করেছে। এটি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর টেলরস ইউনিভার্সিটি ২৫৩তম এবং ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি২৬৯তম স্থানে রয়েছে।
টপ ৫০০-এর মধ্যে নতুন করে প্রবেশ করেছে সানওয়ে ইউনিভার্সিটি (৪১০তম) ও উনিভার্সিটি উতারা মালয়েশিয়া (৪৯১তম)।
মোট ১০টি মালয়েশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় এবার বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছে, যা গত বছরের ৮টি থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউএম উপাচার্য প্রফেসর দাতুক সেরি ড. নূর আজুয়ান আবু ওসমান বলেন, “আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরও এগিয়ে যেতে বিশ্বমানের প্রতিভা আকর্ষণে কাজ করছি এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের সঙ্গে একাধিক প্রকল্প ও অংশীদারিত্ব জোরদার করছি।”
ইউটিপি প্রেসিডেন্ট মোহামেদ ফিরোজ আসনান বলেন, “এই স্বীকৃতি আমাদের লক্ষ্য পূরণে অনুপ্রেরণা যোগাবে। এটা মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় এবং শিল্প-ভিত্তিক উদ্ভাবনে পারদর্শী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।”
অন্যদিকে, টেলরস ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ব্যারি উইন জানান, “আমরা শিক্ষার্থী সম্প্রদায় সম্প্রসারণ, শিক্ষক বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক সমস্যার সমাধানে অংশীদারিত্ব গঠনে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।”
কিউএস-এর প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, মালয়েশিয়া এবার সর্বোচ্চ হারে র্যাঙ্ক উন্নতি করা দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ৩২টি প্রতিষ্ঠান র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে, যার মধ্যে ১৯টি উন্নতি করেছে, ৫টি নতুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং মাত্র ৩টি নিচে নেমেছে।
সেগি ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাত সূচকে বিশ্বে ১৩তম স্থান অর্জন করেছে, যা এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ অবস্থান।
কিউএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাত, একাডেমিক খ্যাতি ও বৈশ্বিক গবেষণা নেটওয়ার্কে বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে ভালো করেছে। তবে কর্মসংস্থানের ফলাফলে কিছুটা পিছিয়েছে।
সম্পূর্ণ র্যাঙ্কিং তালিকা পাওয়া যাবে কিউএস-এর ওয়েবসাইটে: www.topuniversities.com/world-university-rankings