Home বিনোদন বাবা করিনার সঙ্গে খুশি, আমি মায়ের কাছে: বলিউডে ইব্রাহিমের পরিণত বক্তব্য

বাবা করিনার সঙ্গে খুশি, আমি মায়ের কাছে: বলিউডে ইব্রাহিমের পরিণত বক্তব্য

বিনোদন ডেস্ক:

ছোট বয়সেই জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু বুঝে ফেলতে হয়েছিল ইব্রাহিম আলি খানকে। মাত্র চার বছর বয়সে মা অমৃতা সিং ও বাবা সইফ আলি খানের বিচ্ছেদের সাক্ষী হন তিনি। বড় বোন সারা আলি খান তখন প্রায় নয় বছরের। দুই ভাইবোনের শৈশব কেটেছে মা অমৃতার কাছে। তবে বাবা সইফের সঙ্গ কখনোই ছিন্ন হয়নি ছুটির দিনে বা বিশেষ উপলক্ষে সইফের সঙ্গেও সময় কাটাতেন তাঁরা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা হিসেবে বলিউডে যাত্রা শুরু করা ইব্রাহিম বলেন, “আমার বাবা এখন অনেক বেশি খুশি বেবোর (করিনা কাপুর খান) সঙ্গে। আমার দুই ছোট ভাই তৈমুর আর জেহ খুবই মিষ্টি ও দুষ্টু। আর মা? তিনি তো আমার জীবনের নায়ক! আমি ওঁর সঙ্গেই থাকি, আর উনি আমাকে খুব ভালোবাসেন।”

ইব্রাহিম আরও বলেন, “বাবা-মায়ের ডিভোর্সের সময় আমি খুব ছোট ছিলাম। তাই সেই সময়ের স্পষ্ট কোনো স্মৃতি নেই। কিন্তু মা-বাবা দুজনেই আমাকে সব সময় নিরাপদ ও স্বাভাবিকভাবে বড় করার চেষ্টা করেছেন। আমি তাঁদের কখনো ঝগড়া করতে দেখিনি। তাঁরা বরং নিজেদের আলাদা জীবনে সুখ খুঁজেছেন এটা খুব বড় শিক্ষা।”

সইফ আলি খান ও অমৃতা সিংয়ের বিয়ে হয়েছিল ১৯৯১ সালে, তখন সইফের বয়স ছিল মাত্র ২১। অমৃতা ছিলেন ৩৩ বছরের, বয়সের এই ব্যবধান নিয়েও সেই সময় বহু আলোচনা হয়েছিল বলিউডে। তাঁদের সংসার টিকেছিল ১৩ বছর, ২০০৪ সালে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ ঘটে। এর বহু বছর পর, ২০১২ সালে সইফ বিয়ে করেন করিনা কাপুরকে, যার আগে প্রায় পাঁচ বছর তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন।

এই সম্পর্কেও সামাজিক আলোচনার ঝড় উঠেছিল, তবে আজ তা বলিউডের অন্যতম স্থিতিশীল দম্পতির উদাহরণ। করিনার সঙ্গে সইফের দাম্পত্য জীবনকে স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করেছেন তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তানরাও।

ইব্রাহিম বর্তমানে বলিউডে নিজের পরিচয় গড়ে তুলতে ব্যস্ত। ‘সরফরাজ’ নামক একটি চলচ্চিত্র দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটাতে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে তাঁর ব্যক্তিত্ব ও বক্তব্যে পরিপক্বতা দেখে অনেকে প্রশংসা করছেন এই তারকা-পুত্রের।


ইব্রাহিমের এই খোলামেলা বক্তব্য শুধু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাই বলে না, বরং আধুনিক সম্পর্কের বাস্তবতা ও মানসিক স্থিতি নিয়েও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। ভাঙা পরিবারে বড় হলেও তিনি তার কোনো অভিযোগে নয়, বরং ইতিবাচক মানসিকতায় বড় হয়েছেন এটা বিরল বলেই মনে করছেন অনেক সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিদ।