Home সারাদেশ সঠিক খাদ্যাভ্যাসে কমে উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি

সঠিক খাদ্যাভ্যাসে কমে উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি

বিশ্ব খাদ্য দিবসের ওয়েবিনারে বক্তারা

ঢাকা: অনিরাপদ ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ও মৃত্যুর ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, খাবারে অতিরিক্ত লবণ এবং ট্রান্সফ্যাট-এর উপস্থিতি উচ্চ রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণযোগ্য ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

আগামীকাল (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস, ২০২৫ উপলক্ষে ১৫ অক্টোবর গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত “খাদ্যাভ্যাস ও উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি” শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)। এ বছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য “হ্যান্ড ইন হ্যান্ড ফর বেটার ফুডস অ্যান্ড এ বেটার ফিউচার”।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পর্যাপ্ত ফল ও শাকসবজি না খাওয়ার কারণে ২০১৭ সালে বিশ্বে প্রায় ৩৯ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে। গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকর খাবারের অংশ হিসেবে কম চর্বি, চিনি ও লবণযুক্ত খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত ফল ও শাকসবজি গ্রহণ করলে কিছু অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (খাদ্য শিল্প ও উৎপাদন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, “ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা বাস্তবায়নের পাশাপাশি বিএফএসএ ফ্রন্ট অব প্যাক লেবেলিং নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. গীতা রানী দেবী বলেন, “উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব নিয়ে আমরা কাজ করছি। কমিউনিটি পর্যায় থেকেই উদ্যোগ নেওয়া উচিত এবং পলিসি এডভোকেসির মাধ্যমে কার্যকর অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করতে হবে।”

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ইপিডেমিওলজি ও রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, “মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি এমন পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে যাতে প্রক্রিয়াজাত খাবার কেনার আগে বোঝা যায় কতটা লবণ ও অন্যান্য উপকরণ রয়েছে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম বলেন, “উচ্চ রক্তচাপসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগের প্রকোপ কমাতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করা এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি।”

ওয়েবিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার এবং জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস। প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের সভাপতিত্ব করেন এবং কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা সঞ্চালনা করেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন পেশার মানুষ এই ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।

-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি