এভিয়েশন ডেস্ক: মাঝ আকাশে এক যাত্রীর তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল রায়ানএয়ারের একটি ফ্লাইটে। যুক্তরাজ্যের বর্নমাউথ থেকে স্পেনের জিরোনা গামী উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের টুলুজ বিমানবন্দরে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ফ্লাইটের এক যাত্রী মদ্যপ অবস্থায় আচমকা চিৎকার করে ওঠেন— “আমি এখনই নামতে চাই”—এরপর তিনি জরুরি বহির্গমন দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এসময় অন্যান্য যাত্রীরা তাকে বাধা দিলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি ও মারামারি শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকজন যাত্রী মিলে তাকে মেঝেতে ফেলে দেন এবং পা সিটবেল্ট দিয়ে বেঁধে রাখেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি টয়লেটে যাওয়ার পর হঠাৎ দরজার দিকে ছুটে যান। একজন বলেন, “তিনি প্রথমে একটি জরুরি দরজা খোলার চেষ্টা করেন, পরে আরেকটি দরজার দিকে যান। তখনই যাত্রীদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘুষাঘুষির পর তাকে আইলের মধ্যে ফেলে পা বেঁধে রাখা হয়।”
আরেক যাত্রী জানান, “প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে মারামারি চলতে থাকে। অন্তত তিনজন যাত্রী মিলে তাকে ধরে রাখেন। ভেতরে রক্ত ঝরছিল, মানুষ চিৎকার করছিল, অনেকে কাঁদছিলেন। সত্যিই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা।”
ঘটনার সময় উড়োজাহাজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, কয়েকজন যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েন ও কেউ কেউ মারাত্মক মানসিক চাপে ভোগেন।
টুলুজে জরুরি অবতরণের পর ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সাদা টি-শার্ট ও কমলা শর্টস পরা ওই যাত্রীকে ১৩ জন ফরাসি পুলিশ সদস্য সম্মিলিতভাবে নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
রায়ানএয়ার এক বিবৃতিতে জানায়, “বর্নমাউথ থেকে জিরোনা গামী ৪ সেপ্টেম্বরের ফ্লাইটটি একজন যাত্রীর অশান্ত আচরণের কারণে টুলুজে অবতরণ করে। পুলিশ ওই যাত্রীকে নামিয়ে নেওয়ার পর ফ্লাইট পুনরায় যাত্রা শুরু করে এবং প্রায় দুই ঘণ্টা বিলম্বে গন্তব্যে পৌঁছায়।”
এয়ারলাইন্স আরও জানায়, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের “জিরো টলারেন্স” নীতি কার্যকর থাকবে এবং ভবিষ্যতেও যেকোনো বিশৃঙ্খল আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বর্নমাউথ বিমানবন্দর এ ঘটনায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।