নয়ন দাস, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ৯টি কলেজে অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৪ জন শিক্ষার্থী কেউই কৃতকার্য হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ফল প্রকাশিত হওয়ার পর এই তথ্য জানা যায়।
ফলাফলের ভিত্তিতে জানা যায়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ি, ভূরুঙ্গামারী, রাজারহাট, রৈমারী, চর শৈলমারী ও উলিপুর উপজেলার নিম্নলিখিত ৯টি কলেজে পরীক্ষার জন্য মোট ৭৬ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিলেন, যাদের মধ্যে ৫৪ জনই পরীক্ষায় অংশ নেন:
- কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ (নাগেশ্বরী)
- সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজ (নাগেশ্বরী)
- ছিলাখানা মডেল কলেজ (নাগেশ্বরী)
- রাশেদ খান মেনন কলেজ (ফুলবাড়ি)
- ধলডাঙ্গা স্কুল ও কলেজ (ভুরুঙ্গামারী)
- শিংগের ডাবড়ীহাট কলেজ (রাজারহাট)
- টাপুর চর স্কুল ও কলেজ (রৈমারী)
- চর শৈলমারী আদর্শ মহিলা কলেজ (রৈমারী)
- বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল ও কলেজ (উলিপুর)
কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুল হক বলেন, “নতুন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এমন ফলাফল হয়েছে।”
ছিলাখানা মডেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ জানান, “গত বছর আমাদের কলেজের ফল ভালো ছিল। ১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৭ জন পাশ করেছিল। এবার ছয়জন শিক্ষার্থী অংশ নিলেও ফরম পূরণের আগ্রহ দেখায়নি। বাড়ি থেকে ডেকে এনে তাদের ফরম পূরণ করানো হয়েছিল।”
সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশরাফুল আলম বলেন, “দীর্ঘদিনেও প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় অনেক শিক্ষক চলে গেছেন। এজন্য ফলাফল এতটা খারাপ হয়েছে।”
রাশেদ খান মেনন কলেজের অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কলেজে মোটামুটি পাঠদান হয়। তবে কেন সবাই ফেল করেছে, বুঝতে পারছি না। আমরা খাতা পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করব।”
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো. আমীর আলী জানান, “শতভাগ অকৃতকার্য হওয়া কলেজগুলোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় যে নির্দেশনা দেবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”