বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের আসন দিয়ে কেনা যাবে না, আমরা বিক্রি হতে আসিনি।’ তিনি বলেন, আসন ভাগাভাগির রাজনীতিতে যাবে না এনসিপি। শনিবার বিকালে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আসন ভাগাভাগি বা সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন মানে হবে মধ্যরাতের ভোটের পুনরাবৃত্তি। আমরা বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করব না। জনগণের সামনে বিকল্প থাকতে হবে। আগের মতো প্রশাসননির্ভর নির্বাচন আমরা চাই না।” তিনি আরও বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য। জনগণের আস্থা থাকলেই আমরা টিকে থাকব।”
নেতা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর ছড়ানো হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, “এখন পর্যন্ত এক বছরের মধ্যে কেউ প্রমাণ দেখাতে পারেনি যে আমরা দুর্নীতি করেছি। যদি কেউ নথি, অডিও, ভিডিও বা সিসিটিভি ফুটেজ দিয়ে প্রমাণ দেয়, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। তবে ভুয়া সংবাদ দিয়ে চরিত্রহননের দায় নিতে হবে।”
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “নির্বাচন কেবল তারিখ ঘোষণা করলেই হবে না, পুরো রাজনৈতিক খেলার নিয়মই বদলাতে হবে। আগে দেখা গেছে রেফারি গোল দিয়েছে, প্রশাসন খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে। এবার নিয়ম বদলাতে হবে, রেফারি রেফারি থাকবে, খেলোয়াড় খেলোয়াড় থাকবে, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।”
নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব হওয়া উচিত। নভেম্বর, ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে—যেকোনো সময় হতে পারে। তবে পুরোনো নিয়মে নয়, জনগণের সামনে প্রকৃত বিকল্প থাকতে হবে। জনগণ যদি আমাদের প্রত্যাখ্যান করে, সেটা আমরা মেনে নেব। কিন্তু সমঝোতার নির্বাচন নয়।”
বর্তমান সংবিধানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “এটি এখন টেক্সটবুক অব ফ্যাসিজম। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে, এই রাষ্ট্রব্যবস্থা কার্যকর নয়। নতুন সংবিধান ছাড়া জনগণের রাষ্ট্র গড়া সম্ভব নয়।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম সদস্যসচিব জহুরুল ইসলাম, আরিফ সোহেল ও ফরিদুল হক।