জ্বালানি সাশ্রয় ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রতিশ্রুতি
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশের গাড়ি প্রেমীদের জন্য সুখবর—ব্রিটিশ ব্র্যান্ড এমজি নতুন এইচএস সিরিজের গাড়ি দেশের বাজারে আনতে যাচ্ছে। এই সিরিজে থাকছে দুইটি অত্যাধুনিক হাইব্রিড মডেল: সুপার হাইব্রিড (প্লাগ-ইন হাইব্রিড) এবং হাইব্রিড প্লাস। নতুন এই হাইব্রিড গাড়িগুলো এমজি’র পক্ষ থেকে দেশের হাইব্রিড গাড়ি ব্যবহারের প্রসার ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারকে উৎসাহিত করার বড় পদক্ষেপ।
সি-সেগমেন্টের একটি নির্ভরযোগ্য এবং আকর্ষণীয় এসইউভি হিসেবে ইতিমধ্যেই এমজি এইচএস দেশের গাড়ির বাজারে ভালো সুনাম অর্জন করেছে। নতুন হাইব্রিড মডেলগুলো সেই সুনামকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ব্রিটিশ ডিজাইনের ঐতিহ্য এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি এই গাড়িগুলো ব্যবহারকারীদের দিবে আরও মসৃণ, আরামদায়ক এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী যাত্রার অভিজ্ঞতা।
সুপার হাইব্রিড মডেলটি একবার চার্জে ১২০ কিলোমিটারের বেশি বৈদ্যুতিক দূরত্ব পার হতে সক্ষম। যখন ফুল চার্জ ও ফুল ট্যাংক জ্বালানী একসাথে ব্যবহার করা হবে, তখন এটি ১০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে চলতে পারবে। প্লাগ-ইন হাইব্রিড প্রযুক্তির কারণে স্বল্প দূরত্বের যাত্রায় এটি সম্পূর্ণ কার্বন নিঃসরণ ছাড়া চলতে পারে, আর দীর্ঘ রাস্তায় হাইব্রিড শক্তি ব্যবহার করে কার্যক্ষমতা বজায় রাখে। অন্যদিকে, হাইব্রিড প্লাস মডেলে রয়েছে স্মার্ট ডুয়াল-মোড পাওয়ার সিস্টেম, যা বিদ্যুৎ ও পেট্রোলের ব্যবহারকে সমন্বয় করে সর্বোচ্চ দক্ষতা ও আরাম নিশ্চিত করে।
আন্তর্জাতিকভাবে এমজি এইচএস ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি স্বীকৃতি পেয়েছে। ‘হোয়াটকার? অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’-এ এটি সেরা প্লাগ-ইন হাইব্রিড এবং পরিবারের ব্যবহারের জন্য সেরা এসইউভি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া ‘অটোকার অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’-এ ব্র্যান্ডটিকে ‘বেস্ট ম্যানুফ্যাকচারার’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এমজি এইচএস যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের পাশাপাশি থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া হাইব্রিড এসইউভির তালিকায় রয়েছে।
বাংলাদেশে নতুন হাইব্রিড এবং সুপার হাইব্রিড মডেলের গাড়ি এখনই প্রি-বুকিংয়ের জন্য উপলব্ধ। দেশের বিভিন্ন এমজি শোরুম ও অনুমোদিত ডিলার পয়েন্টে আগ্রহী গ্রাহকরা তাদের গাড়ি বুক করতে পারেন। নতুন এই গাড়িগুলো শুধু আধুনিক প্রযুক্তি নয়, বরং জ্বালানি সাশ্রয়, আরামদায়ক যাত্রা এবং পরিবেশবান্ধবতার সমন্বয় ঘটাবে, যা বাংলাদেশে হাইব্রিড গাড়ির বাজারে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে।










