Home আকাশ পথ কেবিনে আলো-আঁধারির খেলা, দ্রুত ওয়াইফাই: কান্তাসের যাত্রীদের নতুন অভিজ্ঞতা

কেবিনে আলো-আঁধারির খেলা, দ্রুত ওয়াইফাই: কান্তাসের যাত্রীদের নতুন অভিজ্ঞতা

এভিয়েশন ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট হলেও সিডনি থেকে পার্থের দূরত্ব ২,০০০ মাইল (৩,২৮০ কিলোমিটার) অতিক্রম করায় এটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার এই যাত্রা কান্তাসের ফ্লাইট নম্বর QF6115 হিসেবে পরিচালিত হয়। এভিয়েশন বিশ্লেষক ‘অ্যানালিটিক ফ্লাইং’-এর ধারণা, ভবিষ্যতে এই রুটটি এয়ারলাইনের অন্যতম জনপ্রিয় সেবায় পরিণত হতে পারে।

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় অবতরণ
VH-OGA রেজিস্ট্রেশন এবং 12323 সিরিয়াল নম্বরযুক্ত বিমানটি ৮ আগস্ট সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে সিডনি থেকে উড্ডয়ন করে (তালিকাভুক্ত সময় ছিল ৬টা ৫০ মিনিট)। ফ্লাইটটি প্রথমে দক্ষিণমুখী হয়ে বোটানি বে অতিক্রম করে রয়্যাল ন্যাশনাল পার্কের উপর দিয়ে পশ্চিম দিকে মোড় নেয়। গড়ে ঘণ্টায় প্রায় ৪৩৬ নট (৫০০ মাইল) গতিবেগে চলার পর ৩৮,০০০ ফুট উচ্চতায় ক্রুজিং অ্যালটিচিউডে পৌঁছে এটি অ্যাডিলেড ও গ্রেট অস্ট্রেলিয়ান বাইটের উপর দিয়ে উড়ে পার্থে নামে।

নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর, সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে বিমানটি পার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এটি পার্থে এয়ারবাস A321XLR-এর প্রথম আগমন, এবং অবতরণের পর বিমানটি দেশীয় টার্মিনালের ১২ নম্বর গেটে পার্ক করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল’-এ অপারেশন
জুলাইয়ের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানোর পর থেকেই বিমানটি বেশ সক্রিয়। ৩ জুলাই ব্রিসবেনে একটি টেস্ট ফ্লাইট (QF6111) পরিচালনার পর সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থান করে। ১০ জুলাই থেকে শুরু হয় অভ্যন্তরীণ সেবা। প্রথম টেস্ট ফ্লাইট QF6117 ব্রিসবেন থেকে সকাল ৬টা ২৪ মিনিটে উড়ে মেলবোর্নে সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে পৌঁছায়।

এরপর বিমানটি মেলবোর্ন, সিডনি ও ব্রিসবেনের মধ্যে চলাচল করছে, যা বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত অভ্যন্তরীণ রুট করিডোর হিসেবে পরিচিত। অধিকাংশ ফ্লাইট ছিল রাজস্ববিহীন প্রশিক্ষণ ফ্লাইট, এবং প্রায় সবই সিডনি–মেলবোর্ন রুটে পরিচালিত। এসব স্বল্পদূরত্বের ফ্লাইটে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা, ফলে সিডনি–পার্থের এই প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ছিল প্রায় পাঁচ গুণ দীর্ঘ।

কান্তাসের নতুন উচ্চতা
এয়ারবাস A321XLR-এর কেবিনে রয়েছে অ্যাম্বিয়েন্ট LED আলো, উঁচু ছাদ ও বড় জানালা, যা প্রাকৃতিক আলোতে ভরিয়ে তোলে ভেতরের পরিবেশ। ৭৩৭ বিমানের তুলনায় ৬০% বেশি ধারণক্ষমতার বড় ওভারহেড লকারে লাগেজ রাখার সুবিধা রয়েছে। যাত্রীদের জন্য দ্রুত ও বিনামূল্যের ওয়াই-ফাই, এবং প্রতিটি আসনে ডুয়াল USB-A ও USB-C চার্জিং পোর্ট দেওয়া হয়েছে।