Home আকাশ পথ বিধ্বস্তের পরদিনই বোমাতঙ্ক: ফের এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ ফুকেটে

বিধ্বস্তের পরদিনই বোমাতঙ্ক: ফের এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ ফুকেটে

প্রতীকী চিত্র

এভিয়েশন ডেস্ক: আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরেকটি বড় ধরনের নিরাপত্তা সংকটে পড়লো এয়ার ইন্ডিয়া। বিধ্বস্তের পরদিন, শুক্রবার সকালে থাইল্যান্ডের ফুকেট থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে বোমা হুমকির কারণে বিমানটি আকাশে কিছু সময় ওড়ার পরই ফুকেটে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়।

ফ্লাইট নম্বর এআই-৩৭৯ স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ফুকেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। ১৫৬ জন যাত্রী ছিলেন।  তবে কিছুক্ষণ পরই বিমানের একটি আসনের নিচে একটি হাতে লেখা চিরকুট পাওয়া যায়, তাতে স্পষ্টভাবে বোমা থাকার ইঙ্গিত ছিল।

ঘটনাটি টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইলট দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিমানটি ফুকেটে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে জরুরি অবতরণ করেন। যাত্রীদের সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ‘এয়ারপোর্ট কনটিনজেন্সি প্ল্যান’ কার্যকর করে। পুলিশ, বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি চালায়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বিমানটি ঘিরে নিরাপত্তা ঘেরাও চলে। তবে শেষ পর্যন্ত বিমানে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়নি।

একদিন আগেই, বৃহস্পতিবার ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে ২৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই নতুন এই ঘটনার ফলে এয়ার ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে সন্দেহজনক বোমা হুমকির পরিমাণ বেড়ে গেছে। এক পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে শুধুমাত্র এয়ারলাইন্স ও গণপরিবহনে এক হাজারেরও বেশি ‘হোয়াক্স’ বোমা হুমকি পাওয়া গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রবণতা শুধু আতঙ্ক ছড়ানো নয়, বরং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে।

এখনও পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। থাই ও ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থা যৌথভাবে ঘটনার উৎস, যাত্রী তালিকা ও বিমানের রুটিন নিরাপত্তা প্রটোকল ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে।