এভিয়েশন ডেস্ক: গত মাসে ভয়াবহ এক বিমান দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের প্রাণহানির ঘটনায় প্রকাশিত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার যে ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়েছিল, তার দুটি ইঞ্জিনেই একই সময়ে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুসারে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ইঞ্জিনগুলোর ‘ফুয়েল কাট-অফ সুইচ’ বা জ্বালানি বিচ্ছিন্নকারী সুইচ প্রায় একই সময়ে ‘রান’ অবস্থান থেকে ‘কাট-অফ’ অবস্থানে চলে যায়। ফলে ইঞ্জিনগুলো জ্বালানিহীন হয়ে পড়ে এবং বিমানের শক্তি একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় আকাশে স্বাভাবিকভাবে ওড়ার অবস্থায় ছিল এবং আবহাওয়া বা বাহ্যিক কোনো ত্রুটির ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। ঠিক এই মুহূর্তে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়াটা তদন্তকারীদের দৃষ্টিতে “অস্বাভাবিক এবং গভীর উদ্বেগজনক”।
তদন্ত প্রতিবেদনে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করা হয়নি—এই সুইচ পরিবর্তনের ঘটনা কর্তৃপক্ষের ভুল操作, যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি সফটওয়্যারজনিত কোনো অচেতনে সক্রিয় হওয়া প্রক্রিয়ার ফল। তবে এটি নিশ্চিতভাবে বলা হচ্ছে, দুটি ইঞ্জিনেই জ্বালানি সরবরাহ একযোগে বন্ধ হওয়াই ছিল বিমানের পতনের মূল কারণ।
এয়ার ইন্ডিয়া বা ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে কিছু সময় নিচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে সংস্থার অভ্যন্তরে এই দুর্ঘটনা ঘিরে একাধিক নিরাপত্তা পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ত্রুটি যদি পাইলটের ভুল না হয়ে থাকে, তবে তা একটি গুরুতর নিরাপত্তাজনিত সংকেত—বিশেষ করে সফটওয়্যার বা বৈদ্যুতিন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে।
আপাতত ব্ল্যাকবক্সের ডেটা বিশ্লেষণ এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের মাধ্যমে আরও গভীর তথ্য উদ্ধারে কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।