Home আকাশ পথ দিল্লি বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজে আগুন

দিল্লি বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজে আগুন

ছবি সংগৃহীত
এভিয়েশন ডেস্ক: দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অবতরণের পরপরই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে সতর্ক প্রতিক্রিয়ায় সব যাত্রী ও ক্রু নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।

হংকং থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI ৩১৫ অবতরণের পর গেটের কাছে পার্ক করার সময় বিমানের ‘অক্সিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিট’ (এপিইউ)-এ আগুন লাগে। এ সময় যাত্রীরা ইতোমধ্যে নামতে শুরু করেছিলেন।

এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘২২ জুলাই ২০২৫ তারিখে হংকং-দিল্লি রুটে পরিচালিত AI ৩১৫ ফ্লাইটটি দিল্লিতে অবতরণ ও গেটে পার্ক করার পরপরই এর এপিইউ ইউনিটে আগুন ধরে যায়। তবে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গেই সিস্টেমের নিজস্ব সুরক্ষা অনুযায়ী ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়।’’

বিমানের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সামান্য হলেও ঘটনাটি তদন্তের জন্য বিমানটিকে গ্রাউন্ডেড (অস্থায়ীভাবে বন্ধ) রাখা হয়েছে। ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, “সব যাত্রী ও ক্রু সদস্য নিরাপদে ও স্বাভাবিকভাবে বিমান থেকে নেমে পড়েছেন। বিমানের সামান্য ক্ষতি হলেও কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।”

এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছিল, তারা তাদের বহরে থাকা সব বোয়িং ৭৮৭ ও বোয়িং ৭৩৭ বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ (FCS) লকিং মেকানিজমের সতর্কতামূলক পরিদর্শন শেষ করেছে। এই পরিদর্শন চলতি মাসে ভারতের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএর জারি করা নিরাপত্তা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে করা হয়।

এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া যায়, গত মাসে আহমেদাবাদে একটি এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হয়ে ২৬০ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। সেই দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যার পেছনে জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিল মূল কারণ।


📢 নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদারের দাবিতে প্রতিবেদনটি শেয়ার করুন
✈️ আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন — এয়ার ইন্ডিয়ার সম্প্রতিক দুর্ঘটনাগুলোর কি গভীর তদন্ত হওয়া উচিত নয়?
🛑 নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস নয়—সবার জন্য নিরাপদ আকাশপথ চাই।