বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত নতুন নিয়োগ কাঠামো নিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য আলোচনাস্থল ত্যাগ করেছে বিএনপি। তবে পরে তারা আলোচনায় ফিরে এলেও সংশ্লিষ্ট বিষয়েঅবস্থান বদলায়নি।
সোমবার (২৮ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২০তম দিনের শুরুতে এ ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ১১টার পর কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও ন্যায়পাল নিয়োগে নতুন নিয়োগবিধি উপস্থাপন করলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ জানিয়ে দেন, তারা এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন না।
তিনি বলেন, “আমরা কিছু সময়ের জন্য ওয়াকআউট করছি। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—সংবিধিবদ্ধ কিছু প্রতিষ্ঠানে নতুনভাবে নিয়োগ কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংবিধানে তা সংযোজন করলে রাষ্ট্র পরিচালনায় জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।”
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বিএনপিকে আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জাতির স্বার্থে আপনাদের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় থাকা উচিত।”
এরপর দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে বিএনপির প্রতিনিধি দল আবারও আলোচনা পর্বে ফিরে আসে। তবে আলোচনায় ফিরে এলেও বিতর্কিত বিষয়ের আলোচনায় তারা সক্রিয় অংশ নেয়নি।
কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, “বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা পুরো সংলাপ বর্জন করছে না। তবে যেসব বিষয়ে আপত্তি রয়েছে, সেখানে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কোনো রাজনৈতিক দল আলোচনায় না এলে আলোচনা থেমে যাবে—এমন নিয়ম আমাদের নেই।”
সংলাপে উপস্থিত সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “যেকোনো ঐকমত্যের জন্য বড় রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। না হলে জাতীয় ঐকমত্যের কাঠামো দুর্বল হয়।”
সংলাপের সঞ্চালক মনির হায়দার বলেন, “এর আগেও কোনো কোনো দল এক বা একাধিক বিষয়ের ক্ষেত্রে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত ঐকমত্য তৈরি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সবার মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য তৈরির প্রচেষ্টা চলছে। কোনো মতভেদ থাকলে তা লিখিতভাবে জানিয়ে আলোচনায় থাকাই যুক্তিযুক্ত।”