গরিব রোগীদের ১৪-১৫টি টেস্ট দেয়া বন্ধ করতে হবে
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রোগীদের নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ কিনতে বাধ্য করা এবং অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করার বিষয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএইচসিডিওএ) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভায় এই মন্তব্য করেন।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা ওষুধ কোম্পানির দালাল? এ দেশে বড় বড় হসপিটালের ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যস্বত্বভোগী? কোন জায়গায় নামান আপনারা নিজেদের?” তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, কেন রোগীদের নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ কিনতে বলা হয় এবং এ ধরনের প্রথা কি রোগীদের স্বার্থে করা হয় নাকি অন্য কোনো প্রভাবশালী পক্ষের সুবিধার্থে।
তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা রোগীর কথা ভালোভাবে না শোনার কারণে অপ্রয়োজনীয় পরামর্শপত্র লেখেন এবং অতিরিক্ত পরীক্ষা নির্ধারণ করেন। “এই অত্যাচার বন্ধ করুন। মানুষ অনেক গরিব। এখানে লোকজন খুব গরিব আছে। বড়লোকদের গলা কাটেন সমস্যা নাই। গরিব রোগীদের ১৪-১৫টি টেস্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করান,” বলেন আইন উপদেষ্টা।
সভায় উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমানও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে অন্যায় মুনাফা করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “সরকারের পাশে বেসরকারি খাত না দাঁড়ালে স্বাস্থ্যসেবাকে পুনর্গঠন করা সম্ভব নয়। সকলকে স্বচ্ছ ও ন্যায্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোগীর সেবা নিশ্চিত করতে হবে।”
সভায় চিকিৎসা খাতের স্বচ্ছতা, রোগীর অধিকার এবং ন্যায্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আইনের দিক থেকে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা এবং স্বাস্থ্যসেবায় দুর্নীতি কমানোর আহ্বানও জানান আইন উপদেষ্টা।
