Home জাতীয় ওসমান হাদি হামলা: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ভুয়া নম্বর প্লেট উদ্ধার

ওসমান হাদি হামলা: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ভুয়া নম্বর প্লেট উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও হেলমেটটি উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। একই সঙ্গে মোটরসাইকেলে ব্যবহৃত ভুয়া নম্বর প্লেটটিও একটি ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিটিটিসি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আলামত উদ্ধার ও হস্তান্তর:
গত রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বনলতা আবাসিক এলাকার একটি বাড়ির নিচতলার পার্কিং থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় হামলাকারীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও হেলমেটটি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে নম্বর প্লেট পরিবর্তনের বিষয়টি উদ্ঘাটন করা হয় এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরে বাংলা নগর থানাধীন পশ্চিম আগারগাঁওয়ের একটি ম্যানহোলের ভেতর থেকে ভুয়া নম্বর প্লেটটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এই আলামতগুলো পরবর্তীতে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

হামলার ঘটনা ও হাদির বর্তমান অবস্থা:
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে হাদি গুরুতর আহত হন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে।

মোটরসাইকেলের মালিকানা ও রহস্য:
সিটিটিসি সূত্র জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিকানা একাধিকবার হাতবদল হয়েছে, যা তদন্তে এক নতুন মোড় এনেছে। এই মোটরসাইকেলটির প্রথম মালিক ছিলেন আব্দুর রহমান। এরপর এটি জনৈক শহিদুল, রাসেল, মার্কেটপ্লেস, ওবায়দুল ইসলাম, আনারুল, আনারুল থেকে পুনরায় ওবায়দুল হয়ে শুভ নামে এক ব্যক্তি ক্রয় করেন। সব মিলিয়ে ৮ জনের হাতবদল হয়ে মাইনুদ্দিন ইসলাম নামের এক ব্যক্তি সর্বশেষ এটি ক্রয় করেন। হামলার ঘটনায় জড়িত মূল সন্দেহভাজন ফয়সালের সহযোগী মো. কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে মাইনুদ্দিন এটি কেনেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই তথ্যের মাধ্যমে তদন্তকারীরা অপরাধীদের সম্ভাব্য নেটওয়ার্ক সম্পর্কে আরও ধারণা পাচ্ছেন।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলায় জড়িত মূল সন্দেহভাজন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সল করিম মাসুদ এবং তার সহযোগী আলমগীর শেখ—এই দুজনই ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে, র‌্যাব এই হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনটি অস্ত্রও উদ্ধার করেছিল। ফয়সাল করিমের স্ত্রী, প্রেমিকা ও শ্যালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ রিমান্ডে নিয়েছে।

এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনার মূল হোতা এবং এর পেছনের উদ্দেশ্য উদঘাটনে জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে। মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে ভারতের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

এ ধরণের আরও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে ভিজিট করুন www.businesstoday24.com