প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “বেসামরিক বিমান চলাচল আইন অনুযায়ী কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হলো।” এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পর্যটননগরী কক্সবাজারের মানুষের।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইতোমধ্যে ১০ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা বৃহৎ আকারের আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ অবতরণের উপযোগী। পাশাপাশি নতুন টার্মিনাল ভবন, কন্ট্রোল টাওয়ার, নেভিগেশন সিস্টেম ও নিরাপত্তা অবকাঠামোও আন্তর্জাতিক মানে প্রস্তুত করা হয়েছে।
সরকার আশা করছে, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হলে দেশের পর্যটন খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এতে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ তৈরি হবে। বিশেষ করে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পর্যটক আগমন আরও বৃদ্ধি পাবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বিমানবন্দরের ট্রায়াল ফ্লাইট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদনের প্রক্রিয়াও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রথম দিকে ঢাকা–কক্সবাজার–ব্যাংকক ও ঢাকা–কক্সবাজার–কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পর্যটন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে চালু হলে এটি শুধু পর্যটন নয়, আঞ্চলিক অর্থনীতিতেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। হোটেল-মোটেল ব্যবসা, সামুদ্রিক পণ্য রপ্তানি ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
প্রজ্ঞাপন কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে কক্সবাজার এখন বাংলাদেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে তালিকাভুক্ত হলো, অন্য তিনটি হলো ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।