বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকা বা ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’-এ একটি ১৪ তলা হোটেল নির্মাণ বন্ধের দাবিতে দুই সচিবসহ আটজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
বুধবার ডাকযোগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক), পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের আটজন কর্মকর্তাকে এই চিঠি পাঠানো হয়।
বেলার চিঠিতে বলা হয়েছে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১৩ সালে প্রণীত মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী কক্সবাজার পৌরসভা এলাকার জোয়ার-ভাটার মধ্যবর্তী লাইন থেকে সৈকতসংলগ্ন প্রথম ৩০০ মিটার এলাকাকে ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সংবেদনশীল এলাকায় কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
তবে এই নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে সৈকত থেকে মাত্র ১০০ মিটারের মধ্যে ‘ছুটি বে’ (Chhuti Bay) নামের একটি ১৪ তলা ও সাত তারকা মানের হোটেল নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক মাধ্যমে এই হোটেলের চমকপ্রদ প্রচারণা চালাচ্ছে এবং মাত্র দুই লাখ টাকায় এর মালিকানায় অংশীদার হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
সমুদ্র ও সৈকতের সংবেদনশীল প্রতিবেশ ব্যবস্থার সুরক্ষার স্বার্থে বেলা কর্তৃপক্ষকে তিনটি বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে:
১. কক্সবাজার সৈকতের ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’ এলাকায় অবৈধভাবে নির্মিতব্য ১৪ তলা ‘ছুটি বে’ হোটেলটির নির্মাণ কাজ অবিলম্বে স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। ২. ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’-এ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে এর আগে দেওয়া সকল অনুমোদন বাতিল এবং ভবিষ্যতে নতুন কোনো অনুমোদন দেওয়া থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিরত থাকতে হবে। ৩. কক্সবাজার পৌরসভার সমুদ্র তীরবর্তী ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’-এর ৩০০ মিটার ও পৌরসভাবহির্ভূত নিয়ন্ত্রিত জোনের ৫০০ মিটার এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক ঝাউ বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশ সুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চিঠির বিষয়ে বেলার আইনজীবী জাকিয়া সুলতানা নিশ্চিত করে জানান, সমুদ্র ও সৈকতের সংবেদনশীল পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলে কোনো স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই, তাই আমরা আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি।








