বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর)। এ রায়কে ঘিরে রাজধানী ঢাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ‘লকডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছে, আর সেটিকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সম্ভাব্য নাশকতা প্রতিরোধে বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে সাঁড়াশি অভিযান, বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল কার্যক্রম। রাজধানীর এয়ারপোর্ট, আব্দুল্লাহপুর, ধানমণ্ডি ৩২, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, কাকরাইল ও হাইকোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকার প্রবেশপথ ও মোড়গুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহনে, যাচাই করা হচ্ছে কাগজপত্র।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতের অভিযানে আওয়ামী লীগের ৪৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগ পৃথকভাবে আরও কয়েকজনকে আটক করেছে।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউ, ফকিরাপুল, কাকরাইল ও এলিফ্যান্ট রোড এলাকার বিভিন্ন হোটেল ও মেসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অতিথিদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই, পেশা ও ঢাকায় আসার কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। এমনকি সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের মোবাইল ফোন তল্লাশি করে দেখা হয়েছে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত কি না।
রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, “সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে কলাবাগানের একটি মেস থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা নাশকতার পরিকল্পনায় ঢাকায় এসেছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ আছে কি না তা সিডিএমএস ডাটাবেজ থেকে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেকের আগের মামলা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবারের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে কোনো ধরনের নাশকতা রোধে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।








