বিনোদন ডেস্ক: কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল যেন বিতর্ক আর অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্যেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন। একের পর এক ঘটনায় খবরের শিরোনামে আসছেন তিনি। এবার রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকায় উবার চালককে মারধরের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন আলোচিত এই সংগীতশিল্পী।
শনিবার (১৯ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় উবার চালক আকবর হোসেনকে মারধর করেন নোবেল। পরে কল্যাণপুর মোড় থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ রোমান জানান, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় আনা হয়েছে। তার বক্তব্য নেওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নোবেল তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে উবার অ্যাপে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করেন। গন্তব্য ছিল কল্যাণপুরের হাবুলের পুকুরপাড় এলাকা। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর তিনি গাড়ি থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানান এবং চালকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তিনি। আচরণ ছিল অস্বাভাবিক ও অসংলগ্ন।
চালক আকবর হোসেন জানান, তিনি নোবেলকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো তিনি গালিগালাজ শুরু করেন এবং হঠাৎ করে তাকে মারধর করতে থাকেন। এতে চালক আহত হন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে নোবেলকে ঘিরে ধরে এবং ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ উবার চালক ও গাড়িটিকেও থানায় নিয়ে যায়। তবে রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।
এদিকে, কিছুদিন আগেই নারী নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আলোচনায় আসেন নোবেল। ২০ মে সেই মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি, বাদী ছিলেন তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। পরে আদালতের নির্দেশে ১৯ জুন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয় এবং ২৪ জুন তিনি জামিনে মুক্তি পান।
২০১৯ সালে ভারতের ‘সারেগামাপা’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন নোবেল। সেই সময় তিনি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তবে এরপর থেকে নানা ধরনের বিতর্ক, মাদকাসক্তির গুজব, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত পোস্টসহ একাধিক ঘটনায় তার ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এবার উবার চালকের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় সেই বিতর্ক আবারও উসকে উঠেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, একজন জনপ্রিয় শিল্পী হিসেবে বারবার এমন ঘটনায় জড়ানো তার ব্যক্তিজীবনের অস্থিরতা এবং আচরণগত সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।