দুই দিনে এসেছে ৬০ টন কাঁচা মরিচ, পাইকারি বাজারে স্বস্তি
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, দিনাজপুর: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুর্গাপূজার ছুটি শেষে আবারও কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে দেশের বাজারে মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। আমদানিকারক ও পাইকাররা জানিয়েছেন, শনিবার থেকে ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হওয়ায় মাত্র একদিনেই কেজি প্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে গেছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, শনিবার সকাল থেকে ভারতীয় কাঁচা মরিচ বোঝাই ট্রাক বন্দরে আসতে শুরু করে। শনিবার পর্যন্ত ৪টি ট্রাকে ৩০ টন এবং আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত আরও ৪টি ট্রাকে ৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, “আমদানি করা কাঁচা মরিচ দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাইকাররা মরিচ সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন। এতে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম দ্রুত কমছে।”
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী অনিল চন্দ্র বলেন, “গত শুক্রবার দেশি মরিচ বিক্রি করেছি ২৬০ টাকায়। শনিবার থেকে ভারতীয় মরিচ আসতে শুরু করেছে। আজ রোববার ১৬০ টাকায় বিক্রি করছি। বিকেলের মধ্যে আরও কমবে।”
বন্দরের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী নুজরুল ইসলাম বলেন, “পূজার ছুটির কারণে মরিচের বাজার অস্থিতিশীল ছিল। এখন আমদানি শুরু হওয়ায় দাম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।”
উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, “প্রতি টন কাঁচা মরিচ ৫০০ ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা। যেহেতু কাঁচা মরিচ পচনশীল পণ্য, তাই দ্রুত ছাড় করণে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।”
আমদানিকারক ব্যবসায়ী প্লাবন রায় বলেন, “ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে মরিচ আসছে। বৃষ্টির কারণে কিছুটা গতি কম হলেও আমরা নিয়মিত আমদানির চেষ্টা করছি। বৃষ্টি কমে গেলে সরবরাহ আরও বাড়বে।”
বর্তমানে হিলি বাজারে পাইকারিতে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ২৫০ থেকে ২৬০ টাকার মধ্যে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আমদানি স্বাভাবিক থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাম আরও কমে আসবে।
