Home Second Lead মিসাইল ও বিমান হামলায় কাঁপছে তেহরান-তেলআবিব

মিসাইল ও বিমান হামলায় কাঁপছে তেহরান-তেলআবিব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে ফের উত্তাল পরিস্থিতি। শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মিসাইল ও বিমান হামলায় শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে। এই উত্তেজনা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

ইরান প্রথমে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’ নাম দিয়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালায়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বেশিরভাগ হামলা প্রতিহত করা গেলেও কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আবাসিক এলাকায় আঘাত হানে। এতে অন্তত তিনজন নিহত ও ৪০ থেকে ১৭০ জন পর্যন্ত আহত হন বলে জানা গেছে।

সংগৃহীত ছবি

জবাবে শনিবার সকালে ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ চালিয়ে ইরানের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা শুরু করে। লক্ষ্যবস্তু ছিল পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র। ইরানের সরকারি সূত্রগুলো দাবি করছে, এই হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ইসফাহান ও ফরডো পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর আশপাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এই পাল্টা আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই প্রতিহত করেছে। তবে সরাসরি কোনো সামরিক ঘাঁটি বা জাহাজ হামলায় ব্যবহৃত হয়নি বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “এই আঘাত ছিল কেবল শুরু, প্রয়োজন হলে আমরা তেহরান পর্যন্ত আগাব।” অপরদিকে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ড কমান্ডার বলেছেন, “প্রতিশোধ শেষ হয়নি, হামলা চলবে।”

সংগৃহীত ছবি

এ সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ শান্তির আহ্বান জানিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অস্ত্র সংবরণে আগ্রহ দেখায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘর্ষ শুধু ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং গোটা অঞ্চলে যুদ্ধের শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। বিশেষ করে পারস্য উপসাগর ও আন্তর্জাতিক এভিয়েশন, জ্বালানি ও বাণিজ্যপথে এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে।

প্রাসঙ্গিক প্রধান পয়েন্ট:
  • ইরান ১৩ জুন রাতে ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে আক্রমণ করে
  • ইসরায়েল ১৪ জুন সকালে বিমান হামলার মাধ্যমে পাল্টা জবাব দেয়
  • দুই দেশের হামলায় নিহত ৮০ জনের বেশি, আহত কয়েক শতাধিক
  • যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সহায়তা দিলেও সরাসরি জড়িত হয়নি
  • জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল শান্তির আহ্বান জানিয়েছে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত এবং যে কোনো সময় এই সংঘাত পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। বিজনেসটুডে২৪ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং আরও তথ্য পাওয়া মাত্রই হালনাগাদ করবে।