Home জাতীয় বাড্ডায় টার্গেট কিলিং: গুলিতে হত্যা গুলশান বিএনপি নেতা

বাড্ডায় টার্গেট কিলিং: গুলিতে হত্যা গুলশান বিএনপি নেতা

কামরুল আহসান সাধন

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান সাধনকে। রোববার রাত ১০টার দিকে ৪ নম্বর রোডের মাথায় পুরোনো ওয়ার্ড কমিশনার কাইয়ুমের কার্যালয়ের সামনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনাস্থলে বসে চা খাচ্ছিলেন সাধন, তখন তার সঙ্গে ছিলেন কাইয়ুমের ভাগনে কামরুলসহ আরও কয়েকজন। হঠাৎ পেছন থেকে এসে দুই যুবক খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই যুবক মাস্ক পরে হেঁটে এসে সাধনের ঘাড়, পিঠ ও বুকে একাধিক গুলি চালায়। গুলিতে ঘটনাস্থলেই পড়ে যান বিএনপি নেতা। হামলাকারীদের মধ্যে একজন পেছনের দিকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে নিরাপদে বেরিয়ে যায়। পুরো ঘটনাটি ঘটে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে। ঘটনার সময় উপস্থিত কেউ অস্ত্রধারীদের বাধা দিতে সাহস করেননি।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হামলার আগেই সন্দেহজনক আচরণ করছিলেন কালো গেঞ্জি ও জিন্স পরা এক যুবক। তার সঙ্গেই ছিল সাদা শার্ট ও বোতল হাতে থাকা আরেকজন, যিনি পরে গিয়ে দাঁড়ায় সাধনের পেছনের কোনায়। এরপরই মুখে মাস্ক পরা দুই যুবক পিস্তল হাতে ঘটনাস্থলে আসে এবং খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে চলে যায়।

ঘটনার পর রাতেই আহত অবস্থায় সাধনকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নেতার স্ত্রী দিলরুবা আক্তার সোমবার ভোরে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানান, রোববার রাতে সাধন বাসা থেকে বেরিয়ে যান চায়ের কথা বলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আসে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর।

প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল ইসলাম বলেন, “আমরা একসঙ্গে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে দুইজন এসে গুলি চালায়। আমি হামাগুড়ি দিয়ে কোনোরকমে পালিয়ে বাঁচি।”

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার সময় আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। দুই হামলাকারীকে শনাক্ত করা গেছে। তাদের ধরতে কাজ করছে পুলিশ ও র‍্যাবের একাধিক টিম।”

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা টার্গেট কিলিং। সেখানে আরও লোক থাকলেও কেবল সাধনকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়েছে। তদন্তের পর হত্যার মোটিভ ও পরিকল্পনায় কারা জড়িত, তা স্পষ্ট হবে।”