এভিয়েশন ডেস্ক: জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় ইয়ামাগাতা বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার এক বিরল ঘটনা দেখা গেছে—রানওয়েতে দেখা গেছে একটি কালো ভাল্লুক। এই অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথির কারণে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিতে অন্তত ১২টি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভোর সাড়ে ৬টার দিকে প্রথমবারের মতো একটি কালো ভাল্লুককে রানওয়েতে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় সব ধরনের উড্ডয়ন ও অবতরণ কার্যক্রম। ভেবেছিল সকালের মধ্যেই সমস্যা সমাধান হবে, কিন্তু দুপুর ২টার দিকে ভাল্লুকটি আবারও রানওয়েতে ফিরে আসে। ফলে বিমান চলাচলে দ্বিতীয়বারের মতো বাধা সৃষ্টি হয়।
ইয়ামাগাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একাধিকবার ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং তাপ-সেন্সিং ক্যামেরার সাহায্যে ভাল্লুকটির অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত বিকেলে একটি বন বিভাগীয় দল সেটিকে তাড়াতে সক্ষম হয়। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত রানওয়ে সুরক্ষা নিশ্চিতে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যেতে হয়েছে।
জাপানে পাহাড়ি অঞ্চল ঘেঁষা এলাকাগুলোতে মাঝেমধ্যেই বন্যপ্রাণীর আবির্ভাব ঘটে। তবে সরাসরি বিমানবন্দরের মতো কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত স্থানে ভাল্লুকের ঢুকে পড়া অত্যন্ত বিরল ঘটনা। এ বিষয়ে ইয়ামাগাতা প্রদেশের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বিষয়টি শুধু নিরাপত্তা নয়, পরিবেশগত ভারসাম্য ও মানব-বন্যপ্রাণী সংঘাতের দিক থেকেও চিন্তার কারণ।’
ভাল্লুকটি জাপানি প্রজাতির কালো ভাল্লুক বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেগুলো সাধারণত হোক্কাইডোসহ দেশের উত্তরের বনাঞ্চলে বাস করে। পরিবেশবিদরা বলছেন, বনাঞ্চলের পরিসর কমে আসার কারণে খাবারের খোঁজে এগুলো মানুষজনের বাসস্থান বা শিল্পাঞ্চলের দিকে চলে আসছে।
এ ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে বেশ উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে ঘটনার ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বন বিভাগ জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রানওয়ের আশপাশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং এয়ারপোর্ট এলাকায় বন্যপ্রাণী শনাক্তে বাড়তি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।
