Home রাজনীতি কুবিতে কর্মচারীকে মারধর: অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা

কুবিতে কর্মচারীকে মারধর: অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, কুমিল্লা: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাবেক ছাত্রদল নেতার হাতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মচারী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী আজাদ রেজিস্ট্রার দপ্তরের কার্য-সহকারী পদে সদ্য যোগদান করেছেন।

ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে। তবে বিষয়টি সামনে আসে কিছু সময় পর। অভিযুক্তের নাম মেহেদী হাসান (সোহাগ), যিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক পদে আছেন এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরিরত।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সকালে মেহেদী হাসান আজাদকে ফোনে ডেকে পাঠান। কিন্তু আজাদ কর্মব্যস্ত থাকায় দেখা করতে পারেননি এবং ফোনও রিসিভ করেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিকেলে প্রশাসনিক ভবনে এসে মেহেদী আজাদকে জিজ্ঞেস করেন, “তুই আজাদ?” — হ্যাঁ বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রকাশ্যে তাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় আরও এক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আবুল বাশার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

শুধু এখানেই থেমে থাকেননি অভিযুক্ত। অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে আবারও ক্যাম্পাস গেটের বাইরে আজাদকে আটকে রাখেন মেহেদী ও তার সহযোগীরা।

বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে কোনো মন্তব্য না করেই ফোন কেটে দেন। কর্মচারীরা ধারণা করছেন, বিএনপিপন্থী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভয়ে তিনি প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছেন না।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান স্বীকার করেন যে তিনি আজাদকে রাগের বশে থাপ্পড় মেরেছেন।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। যুগ্ম-আহ্বায়ক আতিকুর জানান, “ঘটনাটি অগ্রহণযোগ্য। তদন্ত করে সাংগঠনিক ও আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীনও এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, আজাদ ফোনে বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছেন এবং লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ ধরনের আচরণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশের পরিপন্থী। তারা প্রশাসনের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।