Home স্বাস্থ্য মাছ খাওয়াই হতে পারে ক্যান্সার রুখে দাঁড়ানোর চাবিকাঠি

মাছ খাওয়াই হতে পারে ক্যান্সার রুখে দাঁড়ানোর চাবিকাঠি

হেলথ ডেস্ক:

ক্যান্সার একটি নীরব ঘাতক। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ এই প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। চিকিৎসাবিজ্ঞান যতই এগিয়ে যাক না কেন, প্রতিরোধই রয়ে গেছে সবচেয়ে কার্যকর পথ। আর এই প্রতিরোধের গুরুত্বপূর্ণ এক অস্ত্র হতে পারে আপনার পাতে প্রতিদিনের মাছ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত মাছ খেলে কেবল শরীর সুস্থ থাকে না, ক্যান্সারসহ বহু রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া গেলে লাভ হয় বহুমাত্রায়।

কেন খাবেন সামুদ্রিক মাছ?

১. প্রোটিন আর ৯টি অ্যামাইনো অ্যাসিডে ভরপুর
মাছ আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিন জোগায়। এই প্রোটিন পেশি গঠনের পাশাপাশি শরীরের প্রতিটি কোষে পুষ্টি পৌঁছে দেয়। এতে থাকা ৯টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বাড়ায়।

২. ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার
স্যামন, টুনা, সার্ডিন, ট্রাউট, ম্যাকারেলের মতো মাছগুলিতে থাকে প্রচুর ওমেগা ৩। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, এমনকি ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার্স প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।

৩. ভিটামিন ও খনিজের আধার
মাছে থাকে ভিটামিন ডি, বি২, আয়রন, জিঙ্ক, আয়োডিন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি। এসব উপাদান হাড় ও দাঁত মজবুত করে, রক্তস্বল্পতা দূর করে, হজমক্ষমতা বাড়ায় এবং গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে।

৪. ব্লাডপ্রেশার ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
মাছে থাকা উপাদানগুলো উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন কমায়। এটি টাইপ ১ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর। সেই সঙ্গে শরীরের কোষগুলিকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।

৫. ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোজ মাছ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ব্রেস্ট ও কোলন ক্যান্সার শরীরের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। এতে থাকা উপাদানগুলো শরীরের কোষে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিক্রিয়া রোধে সাহায্য করে।

কোন কোন মাছ খাবেন?
ইলিশ, রুপচাঁদা, কোরাল, চিংড়ি, টুনা, স্যামন, সার্ডিন, ম্যাকারেল, ট্রাউট—সব সামুদ্রিক মাছই উপকারী। এগুলো সহজে হজম হয়, শরীরের বিভিন্ন সিস্টেমে পুষ্টি পৌঁছে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

মনে রাখবেন, মাছের মতো সহজলভ্য আর উপকারী প্রাণিজ প্রোটিন খুব কমই আছে। মাছ খান নিয়মিত, সুস্থ থাকুন দীর্ঘদিন।

সূত্র এনডিটিভি