Home আন্তর্জাতিক কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে শুকনো মাছের ভেতর ১২ কেজি কোকেইন

কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে শুকনো মাছের ভেতর ১২ কেজি কোকেইন

ছবি সংগৃহীত

তিন জাপানি নাগরিক আটক 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এ এক বিশেষ তল্লাশি অভিযানে শুকনো মাছ ও শুকনো চিংড়ির প্যাকেটের ভেতর লুকানো অবস্থায় প্রায় ১২ কেজি কোকেইন উদ্ধার করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলেই তিন জাপানি নাগরিককে আটক করা হয়েছে, যারা ব্যাংকক থেকে মালয়েশিয়ায় পৌঁছান।

বিমানবন্দর কাস্টমস জানায়, স্ক্যানারে সন্দেহজনক ইমেজ দেখা গেলে যাত্রীদের লাগেজ আলাদা করে খোলা হয়। তল্লাশিতে দেখা যায়, মাছ ও চিংড়ির প্যাকেটগুলোর ভেতরে বিশেষভাবে ভ্যাকুয়াম সিল করা কয়েকটি প্যাকেটে কোকেইন লুকানো ছিল। প্রতিটি প্যাকেট এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যাতে সাধারণ স্ক্যানিংয়ে ছদ্মবেশ ধরা না পড়ে।

কাস্টমস কর্মকর্তাদের মতে, উদ্ধার হওয়া মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২৪ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। তারা বলেন, এই ধরনের ছদ্মবেশী পদ্ধতি আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের নতুন কৌশলের অংশ হতে পারে এবং এটি একটি সুপরিকল্পিত পাচারচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

আটক তিন জাপানি নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তারা মাদকের উৎস, পাচারপথ বা গন্তব্য সম্পর্কে এখনো কোনো স্পষ্ট তথ্য দেয়নি। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, পাচারকারীরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভেতর বিভিন্ন বিমান রুট ব্যবহার করে কোকেইন সরবরাহের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।

ঘটনার পর মালয়েশিয়ার Royal Malaysian Customs Department এবং Border Control and Protection Agency (AKPS) যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। মামলাটি Dangerous Drugs Act 1952-এর 39B ধারায় প্রক্রিয়াধীন, যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা আজীবন কারাদণ্ড।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, KLIA-তে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি নাগরিকদের মাধ্যমে মাদক পাচার বাড়ায় নজরদারি আরও শক্ত করা হয়েছে। বিমানবন্দরের স্ক্যানিং প্রক্রিয়া, গোয়েন্দা নজরদারি এবং যাত্রী প্রোফাইলিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে বলে তারা জানায়।

তিন জাপানি নাগরিককে শিগগিরই আদালতে তোলা হবে। তদন্তকারীরা বলছেন, উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ কোকেইনের পেছনে বড় একটি আন্তর্জাতিক চক্রের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে এবং সেই দিকেই তদন্ত এগোচ্ছে।