বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা:
কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের পেছনের ল্যান্ডিং গিয়ারের একটি চাকা আকাশেই খুলে পড়ে যায়। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পাইলট ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহর অসাধারণ দক্ষতা, সাহসিকতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয়। এতে বিমানবন্দরে থাকা ৭১ জন যাত্রী প্রাণে বেঁচে যান।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৪৩৬ ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করে। আকাশে ওঠার পরই বিমানের পেছনের বাম দিকের একটি চাকা ঝড়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। পাইলট দ্রুত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি অবতরণের অনুমতি নেন এবং নিখুঁত নিয়ন্ত্রণে বিমানকে নিচে নামানোর নির্দেশ দেন।
ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহর বিচক্ষণতার কারণে দুপুর ২টা ২২ মিনিটে ফ্লাইটটি নিরাপদে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এতে এক শিশুসহ ৭১ যাত্রী সবাই অক্ষত অবস্থায় বিমানে থেকে নামেন।
ঘটনার পর থেকে দেশের মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাইলট জামিল বিল্লাহ এবং কেবিন ক্রুদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এই ধরনের কঠিন মুহূর্তে পাইলটের সংযম ও দক্ষতা ছাড়া এত মানুষ বাঁচানো সম্ভব হত না।” আরেকজন বলেছেন, “বিমান বাংলাদেশ এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। তাদের পাইলটদের গুণগত মানের কথা দেশের সবাই জানবে।”
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবীর বলেন, “ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহ খুবই অভিজ্ঞ ও যোগ্য পাইলট। তাঁর দ্রুত সিদ্ধান্ত ও পেশাদারিত্বের কারণে যাত্রীরা নিরাপদে অবতরণ করতে পেরেছেন।”
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনার কারণে বিমানবন্দরের অন্যান্য ফ্লাইট চলাচলে কোনো বাধা হয়নি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এখন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যার নেতৃত্বে আছেন চিফ অব সেইফটি ক্যাপ্টেন এনাম তালুকদার, যেন এই ধরনের ঘটনা পুনরায় না ঘটে।
দেশজুড়ে এই সাহসী পাইলটের দক্ষতা ও দ্রুত বিচক্ষণতায় বিমানের যাত্রীরা বেঁচে থাকার খবর সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের বেসামরিক বিমান চলাচলে মানুষের আস্থা আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে।