আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির পাল্টা জবাবে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মঙ্গলবার (১৭ জুন) দেওয়া বার্তায় তিনি লেখেন, ‘মর্যাদাবান হায়দারের নামে, যুদ্ধ শুরু হলো।’
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন খামেনি। তিনি আরও বলেন, “আমাদের সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দিতে হবে। জায়নবাদীদের কোনো দয়া দেখানো হবে না।”
এর জবাবে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাপে একাধিক পোস্টে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে হুঁশিয়ারি দেন। খামেনির অবস্থান সম্পর্কে জানার দাবি করে ট্রাম্প লেখেন, “আমরা ঠিক জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদ। আমরা তাকে বের করে আনবো না—অন্তত এখনই নয়।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “আমরা চাই না ইরান বেসামরিক নাগরিক বা আমাদের সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তু করুক। আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।”
এর আগে অন্য এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, “ইরানের আকাশসীমা এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে।” তিনি লেখেন, “তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমেরিকার প্রযুক্তির তুলনায় কিছুই না।”
মার্কিন বাহিনীর অস্বাভাবিক গতিবিধি:
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র গত তিন দিনে অন্তত ৩০টি সামরিক ট্যাংকার বিমান ইউরোপে সরিয়ে নিয়েছে। যা মূলত যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমানে আকাশে জ্বালানি সরবরাহে ব্যবহৃত হয়।
বিবিসি ভেরিফাইকে দেওয়া এক বিশ্লেষণে রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক জাস্টিন ব্রঙ্ক বলেন, “এই মোতায়েন ইঙ্গিত দেয়, যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলজুড়ে সামরিক অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
তবে আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রতিরক্ষা প্রধান ভাইস-অ্যাডমিরাল মার্ক মেলেটের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ কৌশলগত অনিশ্চয়তার অংশ হতে পারে। ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনার কৌশল হিসেবেও একে দেখা যেতে পারে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইতিমধ্যে এফ-১৬, এফ-২২ ও এফ-৩৫ মডেলের যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। ইউরোপে পাঠানো ট্যাংকার বিমানগুলো এসব বিমানের আকাশ জ্বালানি সরবরাহে ব্যবহার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তেহরান এখনও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে পরিস্থিতি দিন দিন ঘোলাটে হয়ে উঠছে।
💬 আপনার মতামত জানান:
ট্রাম্প ও খামেনির মধ্যে এই বাকযুদ্ধ কি সত্যিই বড় সংঘর্ষের ইঙ্গিত দিচ্ছে? 🌍
🕊️ না কি এটি কেবল রাজনৈতিক কৌশল?
👇 কমেন্টে জানান, আপনার বিশ্লেষণ কী বলে?