বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: অবসাদের ঝড় বয়ে যায় শরীর-মন জুড়ে, হঠাৎ করেই রাগ, অস্থিরতা, বিষণ্নতা গ্রাস করে। পিরিয়ডের কিছুদিন আগে এমন অনুভব অনেক নারীর জীবনের নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু কেন এমন হয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হরমোনের ওঠানামার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসও এর বড় কারণ।
এই সময় খাদ্যতালিকায় কিছু ছোট পরিবর্তন আনলেই মুড সুইংয়ের ঝাঁপটা অনেকটাই হালকা করা সম্ভব। কী খাবেন এই সময়, তা নিয়ে চিকিৎসকেরা দিয়েছেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ—
১. শাকসবজির শক্তি:
পালং শাক বা অন্যান্য সবুজ শাক-সবজি শুধু শরীর নয়, মনকেও রাখে স্থির। এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ব্রেনের কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং মেজাজ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। খিটখিটে মনোভাব কমাতেও কার্যকর এই শাকজাতীয় খাবার।
২. স্যামন ও সামুদ্রিক মাছ:
স্যামন, সারডিন বা অন্যান্য ফ্যাটি ফিশে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দেহের ইনফ্লেমেশন কমায় এবং মনকে দেয় স্বস্তি। এই ধরনের খাবার মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্যকরী।
৩. বাদাম-বীজের জাদু:
আমন্ড, আখরোট, তিসি বা কুমড়োর বীজে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা ব্রেনে নিউরোট্রান্সমিটার সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। ফলে সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে আবেগ।
৪. হোল গ্রেইনের উপকারিতা:
ওটস, ব্রাউন রাইস, জোয়ার কিংবা বাজরা জাতীয় দানাশস্যে থাকে জটিল কার্বোহাইড্রেট। এগুলি সেরোটোনিন নামের হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে, যা মনকে রাখে উৎফুল্ল। পিরিয়ড চলাকালীনও এগুলি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৫. প্রোবায়োটিকের শক্তি:
দই, ইডলি, আচার ইত্যাদির মতো ফারমেন্টেড খাবারে থাকে প্রোবায়োটিকস, যা শুধু হজম নয়, মনেও আনে ভারসাম্য। গবেষণা বলছে, পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মনও থাকে সুস্থ ও স্থির।
- তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে—এসব ঘরোয়া উপায় সবার জন্য সমানভাবে কাজ নাও করতে পারে। যদি লক্ষণগুলো ক্রমশ গুরুতর হয়ে ওঠে, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।