বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, খুলনা: খুলনা চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনের সময়সূচি দ্রুত করার দাবি জানিয়েছেন শীর্ষ স্থানীয় বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর নেতারা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পরামর্শ সভায় চেম্বারের প্রশাসক জানিয়ে দেন, আগামী মে মাসে নির্বাচন আয়োজন করা হবে। তবে ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করেছেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় চেম্বারের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি ও অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রমে নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের জন্য তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, বাণিজ্যিক সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এবং চেম্বারের প্রশাসককে বৃহস্পতিবার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে খুলনা চেম্বার অব কমার্সে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এ নিয়োগের ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা থাকলেও ভোটার যাচাই-বাছাই কার্যক্রমের পর হঠাৎ সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে মতামত নেওয়ার জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর চেম্বার ভবনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএনপি নেতা ও কিছু বহিরাগত উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনের প্রস্তাব উঠলে তারা হট্টগোল শুরু করেন, যার কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ী নেতারা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারেননি। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগামী বছরের মে মাসে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় ভ্যাট, আয়কর ও কাস্টমস সংক্রান্ত জটিলতা সমাধান হচ্ছে না। আমদানি-রপ্তানি ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়ছেন। তাই দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার জন্য তারা প্রশাসককে অনুরোধ করেছেন।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি শেখ কামরুল আলম, মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহিদ হোসেন, খুলনা ডিস্ট্রিক ইম্পোর্টাস গ্রুপের সভাপতি আবদুল হামিদ সরকার, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সাধারণ সম্পাদক শংকর কর্মকার, খুলনা বিপণী কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মাসুম, খুলনা বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ দেওয়ানসহ ১২টি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
খুলনা চেম্বারের প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ জানান, নির্বাচন সংক্রান্ত সভায় বেশিরভাগ ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। মে মাসে নির্বাচন করার প্রস্তাবে তারা একমত প্রকাশ করেন এবং কেউ বিরোধিতা করেননি। তবে তিনি যোগ করেন, “যদি ব্যবসায়ীরা মনে করেন দ্রুত নির্বাচন হওয়া ভালো হবে, তাহলে সব পক্ষ একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা সম্ভব।”
এ ঘটনায় প্রশাসক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচনের তফসিল সংক্রান্ত বিষয়ে সমাধান খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।









