বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: জুলাই আন্দোলনে আহতরা আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা এবং বহু প্রতীক্ষিত জুলাই সনদ প্রকাশের দাবিতে রোববার সকাল থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন। আগের রাত থেকেই তারা শাহবাগে অবস্থান নিয়ে সেখানেই রাত কাটান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারযোগ্য এবং তাই তাদের স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে জুলাই সনদ প্রকাশ এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থাও করতে হবে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া আহত বিপ্লব নামের একজন বলেন, ‘আমি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, এখন রিলিজে আছি। আমাদের দাবি ছিল দুটি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ এবং জুলাই সনদ প্রকাশ। এখন একটি নিয়ে সিদ্ধান্ত দিলেও অন্যটি ঝুলিয়ে রেখেছে। ৯ মাসেও সনদ প্রকাশ হয়নি, ৩০ দিনে কীভাবে হবে?’
রোববার দুপুরে শাহবাগ মোড়ে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা চারটি দিকেই ব্যারিকেড দিয়েছেন। শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প রুট হিসেবে যানবাহন মৎস্য ভবন হয়ে হেয়ার রোড ব্যবহার করছে। ফার্মগেট ও সায়েন্স ল্যাব অঞ্চল থেকেও যানবাহনের গতি কমে গেছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, তারা হাসনাত আবদুল্লাহর আহ্বানে শাহবাগে জড়ো হয়েছেন। যদিও রাতে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠন শাহবাগ ত্যাগ করে, আন্দোলনকারীরা সেখানে থেকে যান। তাদের ভাষায়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শাহবাগ ছাড়বেন না।
এদিকে শনিবার রাতেই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দলটির বিচার চলা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। একই বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনীর অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। এখন দল হিসেবে বিচার কার্যক্রম চালানো সম্ভব হবে।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা যেমন বাড়ছে, তেমনি নিরাপত্তা পরিস্থিতিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আন্দোলন কতটা দীর্ঘায়িত হবে তা এখনও অনিশ্চিত।
