Home আন্তর্জাতিক গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভাব্য: ট্রাম্পের ঘোষণা ঘিরে আশার আলো

গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভাব্য: ট্রাম্পের ঘোষণা ঘিরে আশার আলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মধ্যে আশার আলো দেখালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। বন্দি বিনিময়, মানবিক সহায়তা ও রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে এই যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ চলছে বলে জানান তিনি।

হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আমরা খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। আমি মনে করি আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিনই এই চুক্তি বাস্তবায়িত হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “যেসব পক্ষ এতে জড়িত, তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আমি আশাবাদী।”

এই ঘোষণার পরই আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ফলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তথ্যে জানা যায়, এ পর্যন্ত সেখানে ৫০০-র বেশি শিশু নিহত হয়েছে। খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সংকটে জনজীবন বিপর্যস্ত।

ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য অংশ হিসেবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। তিনি এই প্রক্রিয়ার অগ্রগতি প্রসঙ্গে বলেন, “বন্দিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি একই সঙ্গে কার্যকর করার চেষ্টায় আমরা আছি।”

তবে এই যুদ্ধবিরতির জন্য কিছু শর্তও সামনে এসেছে। ইসরায়েলি পক্ষ জানিয়েছে, হামাসকে অস্ত্র পরিহার ও তাদের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করার নিশ্চয়তা দিতে হবে। অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, তারা শুধু যুদ্ধবিরতির শর্তে বন্দি মুক্তি দিতে পারে, অস্ত্র ত্যাগ নয়। ফলে চুক্তির সূক্ষ্ম দিকগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

আগামী ৭ জুলাই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠকেই যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত রূপরেখা নির্ধারিত হতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যুদ্ধবিরতি না হলে সেখানে গণহত্যার আশঙ্কা বাড়ছে বলে সতর্ক করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। একইসঙ্গে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থান ধরে রাখার দিক থেকেও ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ।

হোয়াইট হাউজ সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহেই যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। তবে তা নির্ভর করবে আলোচনার অগ্রগতি এবং নেতানিয়াহু-ট্রাম্প বৈঠকের ফলাফলের ওপর।