বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে বহিষ্কৃত নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করেছে। তাছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস-পিওর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। দুদক এই অনুসন্ধানগুলি নিয়ে গভীর তদন্ত শুরু করেছে এবং আসন্ন দিনগুলোতে আরও তথ্য প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
৪ মে, রোববার দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, “গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে তদবির বাণিজ্য ও কমিশন বাণিজ্য, যা অত্যন্ত গুরুতর। এই অভিযোগগুলি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এনসিপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার সরকারি কোনো পদে না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে প্রবেশের পাস পেয়ে সচিবালয়ে তদবির বাণিজ্য চালাতেন। অভিযোগ রয়েছে, তানভীর তার প্রভাব খাটিয়ে সরকারি কাজে সুবিধা নিতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, বিশেষত যখন এনসিটিবিতে বই ছাপানোর প্রক্রিয়া চলছিল।
এনসিপি থেকে তানভীরের বহিষ্কারের পর, দলের পক্ষ থেকে গত ২১ এপ্রিল তাকে সাময়িক বহিষ্কার করার ঘোষণা দেওয়া হয় এবং তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, সেই বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। তবে, দলীয় পর্যায়ে এই পদক্ষেপের পরও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান আরও তীব্র হয়েছে।
এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের বিরুদ্ধে চলমান এই তদন্তের সাথে সম্পর্কিত আরও একটি বিষয় হলো বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ গত সপ্তাহে দুদক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে, তাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। তাদের দাবি, এমন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
তদন্তে জানা গেছে, গাজী সালাউদ্দিন তানভীর তার অভ্যুত্থানের সময় সরকারি দপ্তরগুলোতে অনধিকার প্রবেশের পাসও তৈরি করেন, যা তাকে সচিবালয়ে প্রবেশের সুযোগ দেয়। এই প্রবেশাধিকার ব্যবহার করে তিনি তদবির বাণিজ্য চালাতেন, এবং সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে সুবিধা নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এনসিপির পক্ষ থেকে তানভীরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ওঠার পর, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় দুদক এখনই একটি বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের তদন্ত বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করবে।