বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ফরিদপুর: ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে এ হামলা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাপ্তাহিক হাট বসায় জনাকীর্ণ ছিল পরমানন্দপুর বাজার। এ সময় জনসংযোগের উদ্দেশ্যে ১৫-১৬টি গাড়ির বহর নিয়ে সেখানে পৌঁছান এ কে আজাদ। কিছুক্ষণ পর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফের পক্ষে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে একই স্থানে আসেন। এতে নেতৃত্ব দেন কোতোয়ালী যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. নান্নু মোল্লা।
দুই পক্ষই স্ব স্ব পক্ষে শ্লোগান দিতে থাকলে বাজার এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বিকেল পাঁচটার আগে এ কে আজাদ ও তাঁর অনুসারীরা পাশের স্কুলমাঠের দিকে চলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায় এবং এ কে আজাদের গাড়িবহরকে নিরাপদে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। অধিকাংশ গাড়ি চলে গেলেও বহরের শেষের দুটি গাড়িতে হাটে বিক্রির জন্য আনা আখ দিয়ে হামলা চালায় কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী।
ঘটনার পর প্রতিক্রিয়ায় এ কে আজাদ বলেন, “ফরিদপুরের রাজনীতিতে এ ধরনের সহিংসতা আগে কখনো দেখিনি। গত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এমন পরিস্থিতি হয়নি। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।”
অন্যদিকে যুবদল নেতা মো. নান্নু মোল্লা দাবি করেন, “এ কে আজাদ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে এনে জনসংযোগ করছিলেন—যারা জুলাই আন্দোলনের সময় সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছিল। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি।”
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।”
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে শহরে মশাল মিছিল করেছে জেলা ছাত্রদল। রাত ৮টার দিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনতা ব্যাংক মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে জেলা ছাত্রদল সভাপতি আদনান হোসেন অনু, সহ-সভাপতি কায়েস মাহমুদ, মহানগর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনিব হাসান সোহাগসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।