Home কৃষি গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে বিপ্লব, খুশি মাধবপুরের কৃষক

গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে বিপ্লব, খুশি মাধবপুরের কৃষক

খুশি কৃষকরা
প্রতিদিন সরবরাহ ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মাঠে মাঠে এখন টমেটোর সমারোহ। গ্রীষ্মকালেও টমেটোর চাষ যে সম্ভব—তা প্রমাণ করেছেন এখানকার কৃষকেরা। চলতি মৌসুমে প্রায় ৩০০ একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন উন্নত জাতের টমেটোর চাষ হয়েছে, আর ফলন হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি।

মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর, চৌমুহনী, বহরা, শাহজাহানপুর, জগদীশপুর ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নের উঁচু জমিতে এই টমেটোর আবাদ হয়েছে। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে চাষ শুরু হয়, আর দুই মাসের মাথায় কৃষকের হাতে ধরা দেয় টাটকা লাল টমেটো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ফলন হয়েছে রীতিমতো বাম্পার।

উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের নোয়াহাটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভোরের আলো ফোটার আগেই ভ্যানে ভ্যানে কৃষকেরা বাজারে আনছেন টমেটো। দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো—প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। পাইকারদের হাত ঘুরে প্রতিদিন টমেটো যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে।

গোপীনাথপুর গ্রামের কৃষক বধু মিয়া জানান, একটু উঁচু জমিতে পাতলা পলিথিন বিছিয়ে চারা লাগালে চাষ ভালো হয়। বৃষ্টির জল জমলেও টমেটো গাছের তেমন ক্ষতি হয় না। এক বিঘা জমিতে চাষ করতে খরচ পড়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা, অথচ বিক্রি হয় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার টমেটো। খরচ বাদে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়।

নোয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী শফিক মিয়া বলেন, ‘টমেটোর স্বাদ এবারে দারুণ। তাই খুচরা বাজারেও চাহিদা বেশি।’ তিনি জানান, তারা প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি করছেন ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার বলেন, ‘আগে এই এলাকায় গ্রীষ্মকালে টমেটো চাষ হতো না। এখন প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষকেরা গ্রীষ্মকালেও সফলভাবে টমেটো চাষ করছেন।’ তিনি আরও জানান, মাধবপুরের কৃষকেরা এখন মৌসুমভেদে বিভিন্ন উচ্চফলনশীল সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন, যা এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিকে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে।