বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজনের প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া চারজন হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান শুনানির সময় প্রত্যেকের দশ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন শামসুদ্দোহা সুমন। শুনানি শেষে আদালত সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মামলার বাদী সিদ্দিক আবু জাফরের দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে প্রধান আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু গুলশান ৮৩ নম্বর সড়কে শাম্মী আহমেদের বাসায় যান। সেখানে তারা হুমকি-ধমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা জানালে তারা শাম্মী আহমেদকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। একপর্যায়ে বাদী নিজের কাছে থাকা পাঁচ লাখ টাকা এবং ভাইয়ের কাছ থেকে আরও পাঁচ লাখ টাকা এনে আসামিদের দেন।
বাদীর ভাষ্য অনুযায়ী, ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিয়াদ ও অপু ফের তার বাসায় এসে দরজায় ধাক্কা দেন। বিষয়টি গুলশান থানায় অবহিত করা হলে তারা স্থান ত্যাগ করে। পরে ২৬ জুলাই বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা ফের বাসার সামনে গিয়ে বাদীকে খুঁজতে থাকে এবং বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার হুমকি দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করে, তবে অভিযুক্ত কাজী গৌরব অপু দৌড়ে পালিয়ে যায়।
মামলায় আসামি করা হয়েছে মোট ছয়জনকে। রিয়াদ, অপু, সিয়াম, সাদাব, ইব্রাহিম ছাড়াও রয়েছেন এক কিশোর আমিনুল ইসলাম।
এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোড়ন তৈরি হয়েছে। অনেকেই বিষয়টি ছাত্র আন্দোলনের নামে অপরাধ চক্রের বিস্তার বলেও মন্তব্য করেছেন।
এ ধরনের আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন www.businesstoday24.com-এ।
