Home আইন-আদালত যশোরে গৃহবধূর গণশ্লীলতাহানি ও চাঁদাবাজি

যশোরে গৃহবধূর গণশ্লীলতাহানি ও চাঁদাবাজি

ছবি : এ আই
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, যশোর: যশোরের বাঘারপাড়া থানায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ, ভিডিও ধারণ এবং এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় আদালতের নির্দেশে অবশেষে মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার রাধানগর গ্রামে। ভুক্তভোগী নারী বাদী অভিযোগ করেছেন, থানা পুলিশ প্রথমে মামলাটি গ্রহণ না করায় তিনি শেষ পর্যন্ত যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন।

মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তিনজনকে। তারা হলো রাধানগর গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে হাফিজুর রহমান, নবিরুল ইসলামের ছেলে জাকের আলী এবং মৃত নওশের আলীর ছেলে ইমরান হোসেন।

ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন এবং তিনি দুই সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন। কিছুদিন ধরে অভিযুক্তরা তার প্রতি লোলুপ দৃষ্টি দেখাতো এবং কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা হুমকি দিয়ে বলেছিল, রাজি না হলে তাকে হত্যা করা হবে।

৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে অভিযুক্তরা ঘরে প্রবেশ করে। তারা বাদীর দুই সন্তান ও গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে হত্যার হুমকি দেয় এবং বাদীকে পাশের ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা হয়। বাদী ও তার সন্তানদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরদিন তারা এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং না দিলে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগী বাদী মামলা করতে গিয়ে প্রথমে বাঘারপাড়া থানায় গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। বাধ্য হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর তিনি যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। বিচারকের নির্দেশে পুলিশ অবশেষে ১ অক্টোবর মামলাটি রেকর্ড করে।

বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ফকির তাইজুর রহমান জানান, “আদালতের নির্দেশ থাকার পরও মামলা গ্রহণে বিলম্বের কারণ হলো আসামিদের দ্রুত আটক করার প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই আমরা আটকের জন্য চেষ্টা শুরু করেছি। আশা করি শীঘ্রই জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।”

স্থানীয়দের মতে, এই ধরনের ঘটনা সামাজিক সচেতনতা ও দ্রুত পুলিশের কার্যক্রমের গুরুত্ব প্রমাণ করে। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উত্থাপন করেছেন স্থানীয়রা।